সুমন আহমেদ বিজয় ॥ লাখাই উপজেলার ৪ টি ইউনিয়নের ৮ টি গ্রামীণ সড়কের কাবিখা প্রকল্পের আওতায় ২০২২-২০২৩ অর্থ বছরে বাস্তবায়িত কাজের অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে মামলা দায়েরের পর তদন্তে সরেজমিনে মাঠে নেমেছেন সমন্বিত জেলা দুর্নীতি দমন কার্যালয় (দুদক)।
২১ অক্টোবর সোমবার উপজেলার ৪ নং বামৈ ইউনিয়নের ২ টি রাস্তা বামৈ খেলু মিয়ার বাড়ি থেকে ভাদিকারা হাবিব মিয়ার বাড়ি পর্যন্ত রাস্তা ও বামৈ গরুর বাজার হতে নোয়াগাঁও পর্যন্ত রাস্তার সম্পন্ন হওয়া কাজের সরজমিন পরিদর্শন ও এর প্রয়োজনীয় তথ্য উপাত্ত সংগ্রহে তদন্তে নামে দুদক। এ সময় তদন্ত দল রাস্তার মাপজোক ও এর দৈর্ঘ, প্রশস্ত ও উচ্চতা পরিমাণ করতে দেখা যায়।
জানা যায় এ দুটো সড়কের জন্য ৬০ টন করে ১২০ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল।
তদন্তকালে উপস্থিত ছিলেন দুর্নীতি দমন কমিশন সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী উপ-পরিচালক মোঃ কামরুজ্জামান,হবিগঞ্জ জেলা এলজিইডির সহকারী প্রকৌশলী মোঃ শাজাহান, লাখাই উপজেলার সাবেক প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আলী নূর, বর্তমান প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম রাকিব।
এ বিষয়ে ৪নং বামৈ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও প্রকল্প কমিটির সভাপতি আজাদ হোসেন ফুরুক জানান আমি এ প্রকল্পের কোন কাজ করিনি। প্রকল্পের কমিটির দেওয়ার জন্য আদেশ দিয়েছিলেন সাবেক লাখাই উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মুশফিউল আলম আজাদ। আমি তাঁর নির্দেশনায় ২ টি রাস্তার জন্য ২ টি কমিটি দিয়েছিলাম। আমি রাস্তার কাজ নিজে করিনি। রাস্তার কাজ করিয়েছিলেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মুশফিউল আলম আজাদ। আমাকে শুধু এ কাজে তদারকির দায়িত্ব পালন করতে হয়েছে। এ কাজ সম্পন্ন করতে প্রায় ২ মাসের মতো সময় প্রয়োজন হয়। রাস্তার কাজের তদারকির জন্য ২ কমিটির ১০ জনকে ২ লক্ষ টাকা দিয়েছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান মুশফিউল আলম আজাদ।
এ বিষয়ে দুর্নীতি দমন কমিশন সমন্বিত হবিগঞ্জ জেলা কার্যালয়ের সহকারী উপ-পরিচালক মোঃ কামরুজ্জামান এর সাথে আলাপ করলে তিনি জানান লাখাই উপজেলার ৪ টি ইউনিয়নের ৮ টি রাস্তার কাজে অনিয়ম ও দুর্নীতির বিষয়ে দুদকে মামলা দায়েরের প্রেক্ষিতে প্রকল্পের রাস্তাগুলোর তদন্ত শুরু হয়েছে। পর্যায়ক্রমে সবকটি রাস্তার কাজের তদন্ত কার্যক্রম চলবে এবং তদন্ত শেষে সংশ্লিষ্ট উর্ধতন কর্তৃপক্ষের নিকট প্রতিবেদন দেওয়া হবে। তিনি আরও জানান তদন্তে এলজিইডি এবং সড়ক ও জনপথ বিভাগের প্রকৌশলীগণ রয়েছেন।
উল্লেখ্য, গত মার্চ/২০২৪ এ উপজেলার বুল্লা, করাব, বামৈ ও মুড়িয়াউক ইউনিয়নের ৮ টি রাস্তার উন্নয়ন কাজে অনিয়ম ও দুর্নীতি হয়েছে মর্মে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন উপজেলার বামৈ ইউনিয়নের নোয়াগাঁও গ্রামের বাসিন্দা মোঃ ইকবাল মিয়া।