নবীগঞ্জ প্রতিনিধি ॥ নবীগঞ্জ বাজারের ব্যবসায়ী রাজন হত্যাকান্ডের সাথে জড়িতদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার বাদ জুম্মা রসূলগঞ্জ বাজারের ব্যবসায়ী ও এলাকাবাসীর আয়োজনে রসূলগঞ্জ বাজারে মানববন্ধনটি অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, যুবক, ছাত্র, মহিলা, শিশুসহ নানা শ্রেণি পেশার লোকজন অংশ নেন। বক্তব্য রাখেন রসূলগঞ্জ বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি সেকুল মিয়া, সাধারণ সম্পাদক সামাদ মিয়া, বিশিষ্ট মুরুব্বী আঃ কাদির, আঃ ছুবান, মংগা মিলা, ফয়জুর রহমান, নুরুল হক, জয়নাল মিয়া, নিহত রাজনের মা, ভাই মগল মিয়া, স্ত্রী নিশি বেগম, মুহিত মিয়া, মুজিব মিয়া প্রমুখ।
নিহত রাজন মিয়া নবীগঞ্জের বাউসা ইউনিয়নের সুজাপুর গ্রামের কাইয়ুম মিয়ার পুত্র। রাজনের স্ত্রী নিশি বেগম বলেন, রাজন মিয়া তার বড় ভাই মগল মিয়ার লিজকৃত নতুন বাজারে ফিসারিতে কাজ করতো। রাজন মিয়ার সাথে একই গ্রামের আজিজুর মিয়ার ১ মাস পূর্বে টাকা নিয়ে বিরোধ হয়। গ্রাম্য সালিশ বিচারে তা সমাধান হয়। সমাধানের পর ৭-৮ দিন তাদের মধ্যে কোন দেখা সাক্ষাৎ ছিল না। এরপর থেকে প্রায় সময়ই আজিজুর রহমান রাজনের সাথে দেখা করতে তার বাড়িয়ে যায়। ঘটনার দিন রাত ১০ টায় আজিজুর তার সাথে সাইফুল মিয়া, নাঈম আহমেদ, সাগর মিয়া ও সাগর আহমেদকে নিয়ে ২টি মোটরসাইকেলে করে রাজনের খোঁজে তাদের বাড়িতে যায়। তাকে বাড়িতে না পেয়ে তার খোঁজে নতুন বাজার ফিশারিতে গিয়ে তাকে সাথে নিয়ে নবীগঞ্জ বাজারে আসে সে। নবীগঞ্জ বাজারে এসে তারা হোটেলে রাতের খাবার খায়। রাতের খাবার শেষে আজিজুর রাজনকে সাথে নিয়ে নতুন বাজার যাওয়ার জন্য মোটরসাইকেল যোগে রওনা হয়। নবীগঞ্জ-হবিগঞ্জ রোডের পৌর এলাকার শান্তিপাড়া এলাকায় এসে চলতি মোটরসাইকেলে তাকে পেছন থেকে মাথায় আঘাত করে মোটরসাইকেল ফেলে রেখে তারা পালিয়ে যায়। মোটরসাইকেল থেকে প্রায় ১০০ হাত দূরে রাজন মিয়াকে স্থানীয় লোকজন দেখতে পেয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে নবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। রাজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ার উন্নত চিকিৎসার জন্য কর্তব্যরত চিকিৎসক থাকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন। সেখানে তাকে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক রাজনকে মৃত ঘোষণা করেন।