মোঃ মামুন চৌধুরী ॥ শায়েস্তাগঞ্জে টানা দ্বিতীয়বারের মতো উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি আব্দুর রশিদ তালুকদার ইকবাল। তার সাথে প্রতিদ্বন্দ্বি দুই প্রার্থী অল্প সংখ্যক ভোট পেয়ে জামানত হারিয়েছেন। সেই সাথে ভরাডুবি হয়েছে বর্তমান মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মোছাঃ মুক্তা আক্তারের। বুধবার রাতে বেসরকারিভাবে নির্বাচনের ফল ঘোষণা করেন শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলা নির্বাচন অফিসার ও সহকারী রিটার্নিং অফিসার মুহাম্মদ উসমান গনি।
প্রকাশিত ফলাফল অনুযায়ী আব্দুর রশিদ তালুকদার ইকবাল মোটর সাইকেল প্রতীক নিয়ে ১৫ হাজার ৩০০ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আতাউর রহমান মাসুক ঘোড়া প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ১১ হাজার ৭৫৯ ভোট। ভোটের ব্যবধান ৩ হাজার ৫৪১। এছাড়া অন্য দুই প্রার্থীর মধ্যে আনারস প্রতীক নিয়ে মোঃ সুরুজ আলী মোল্লা ৩১১ ও দোয়াত কলম প্রতীকে রকিব আহমেদ ২৬৭ ভোট পেয়ে জামানত হারিয়েছেন।
এর আগে আব্দুর রশিদ তালুকদার ইকবাল ২০১৯ সালের নির্বাচনে অংশ নিয়ে প্রথমবার শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন। এবারের নির্বাচনে টিয়াপাখি প্রতীক নিয়ে ১০ হাজার ৪৫২ ভোট পেয়ে ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন শায়েস্তাগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি আ স ম আফজল আলী। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি মোঃ সফিক মিয়া খন্দকার সরদার চশমা প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৬ হাজার ৫৮৮ ভোট। অন্য তিন প্রার্থীর মধ্যে মোহাম্মদ জালাল উদ্দিন রুমী তালা প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৫ হাজার ১৩১ ভোট, মোঃ মনোয়ার হোসেন জাকারিয়া মাইক প্রতীক নিয়ে ২ হাজার ৮৬৪ ভোট, মোহাম্মদ আব্দুল কাদির আসাদ টিউবওয়েল প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ২ হাজার ৪৭১ ভোট।
প্রজাপতি প্রতীক নিয়ে ১৪ হাজার ২৯৪ ভোট পেয়ে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন মোছাঃ মমতাজ বেগম ডলি। তার নিটকতম প্রতিদ্বন্দ্বি মিস রুবিনা আক্তার ফুটবল প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ১০ হাজার ২৪৮ ভোট। আর বর্তমান মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মোছাঃ মুক্তা আক্তার পেয়েছেন মাত্র ৩ হাজার ৩ ভোট।
জানা যায়, উপজেলার ১৮টি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। একটি পৌরসভা ও তিনটি ইউনিয়ন মিলিয়ে উপজেলার মোট ভোটার ৫৫ হাজার ৬৭৯ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ২৭ হাজার ৫৩২ জন। নারী ভোটার ২৮ হাজার ১৪৭ জন। ভোটকক্ষের সংখ্যা ছিল ১৪৯টি। এর মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ৫১ দশমিক ৩৮ শতাংশ, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৫১ দশমিক ৩৩ শতাংশ ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৫১ দশমিক ৩২ শতাংশ ভোট প্রয়োগ হয়েছে।
বিভিন্ন কেন্দ্র ঘুরে দেখা যায়, সকালে ভোটার উপস্থিতি কম ছিল। বেলা বাড়ার সাথে ভোটার উপস্থিতি বৃদ্ধি পায়। কেন্দ্রে কেন্দ্রে মোতায়েন ছিল পুলিশ ও আনসার সদস্যরা। টহলে ছিল বিজিবি ও পুলিশ। কেন্দ্র পরিদর্শন করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রে। প্রতিটি কেন্দ্রে লক্ষ্যণীয় ছিল ঘোড়া ও মোটর সাইকেল প্রতীকের কর্মী সমর্থকদের উপস্থিতি।