স্টাফ রিপোর্টার ॥ মাধবপুর উপজেলার কাশিমনগর ফাঁড়ির এসআই ফজলুল হকের বিরুদ্ধে আবারও সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভুক্তভোগী ইউসুফ আলী। গতকাল রবিবার হবিগঞ্জ প্রেসক্লাবে উপজেলার ধর্মঘর ইউনিয়নের মোহনপুর গ্রামের মৃত সমুজ আলীর পুত্র ইউসুফ আলী সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বলেন, গত ২৬ মার্চ তিনি কাশিমনগর ফাঁড়ির এসআই ফজলুল হকের বিরুদ্ধে পুলিশ সুপার বরাবরে অভিযোগ দায়ের করেন। এ ঘটনায় এসআই ফজলুল হক আরও ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেছেন। ফজলুল হক অভিযোগটি তুলে নিতে তাকে নানাভাবে হুমকি ধামকি দিচ্ছেন।
সংবাদ সম্মেলনে ইউসুফ আলী বলেন, গত বছরের ২০ জুলাই উপজেলার শিয়ালউড়ি গ্রামের আব্দুস সাত্তারের বাড়ির সামনের রাস্তা থেকে উপজেলার ২৫ বিজিবি সরাইল ব্যাটালিয়ন হরষপুর সীমান্ত ফাঁড়ির হাবিলদার সবুর মিয়াসহ একদল সিপাহী চৌমুহনী ইউনিয়নের বিষ্ণুপুর গ্রামের মোঃ আব্দুল মোতালেবের পুত্র মোঃ আতিক মিয়াকে (২৭) ২ বোতল বিদেশী মদ, মোটরসাইকেল ও কম্পিউটারের বিভিন্ন যন্ত্রাংশসহ আটক করে। মোটর সাইকেলটি ইউসুফ আলীর আত্মীয় ওয়াহিদ মিয়ার। আটকের কিছুদিন আগে আতিক মিয়া পূর্ব পরিচিত হওয়ায় তার স্ত্রীর কাছ থেকে বেড়াতে যাবার কথা বলে মোটর সাইকেলটি নিয়ে আসে। পরে সে মাদক ও কম্পিউটারের যন্ত্রাংশসহ বিজিবির হাতে আটক হয়। বিজিবি আতিকের বিরুদ্ধে মামলা দেয়। ওয়াহিদ মিয়া তার মোটর সাইকেল আনতে বিজিবির সাথে যোগাযোগ করে জানতে পারেন মোটর সাইকেলের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। পরবর্তীতে ওয়াহিদ মিয়া আদালত থেকে মোটর সাইকেলটি ছাড়িয়ে নেন। কিন্তু কাগজপত্রে তদন্তকারী কর্মকর্তার স্বাক্ষর থাকায় তিনি কাশিমনগর ফাঁড়ির এসআই ফজলুল হকের সাথে তার ভাগিনা সালামের মাধ্যমে যোগাযোগ করেন। তখন তাদের কাছে ২৫ হাজার টাকা দাবি করেন এসআই ফজলুল হক। এ সময় ওয়াহিদ মিয়া তার ভাগ্নে সালাম মিয়াকে নিয়ে এসআই ফজলুল হকের সাথে দেখা করতে যান। পরবর্তীতে টাকা পয়সা দিয়ে কাগজে স্বাক্ষর করে মোটর সাইকেলটি আদালত থেকে ছাড়িয়ে নিয়ে আসেন। পরে এসআই ফজলুল হক ওয়াহিদ মিয়াকে আসামি করে আদালতে চার্জশীট দাখিল করেন। ইউসুফ আলীর পুত্র সালাম এ বিষয়ে এসআই ফজলুল হকের কাছে জানতে চাইলে তিনি তার প্রতি ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন। গত ২০ মার্চ রাতে সালামের বাড়ি থেকে ১০ কিলোমিটার দূরে পরিত্যক্ত অবস্থায় একটি বস্তা উদ্ধার করেন এসআই ফজলুল হক। এ বস্তায় মাদক পাওয়া গেছে উল্লেখ করে এসআই ফজলুল হক সালামকে পলাতক আসামি দেখিয়ে তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। অথচ ঘটনার সময়ে সালাম তার বাড়িতে ছিলো এবং যার প্রমাণাদি তাদের কাছে রয়েছে। তিনি সাংবাদিকদের মাধ্যমে পুলিশ প্রশাসনের নিকট এর সুষ্ঠু বিচার দাবি করেন।