স্টাফ রিপোর্টার ॥ হবিগঞ্জ আড়াইশ শয্যা জেলা সদর হাসপাতালের নার্স ঝুমা আক্তারের বাসায় চুরির ঘটনায় আটক ৩ চোর আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। গতকাল রবিবার বিকালে সদর মডেল থানার এসআই মমিনুল ইসলাম আটককৃত বাহুবল উপজেলার স্বর্ণরেখ গ্রামের মৃত সোনাই উল্লার পুত্র রনি মিয়া ওরফে চান্দু, বানিয়াগাঁও গ্রামের শংকর বণিকের পুত্র তন্ময় বণিক ও একই গ্রামের মৃত রঞ্জিত দে’র পুত্র মা জুয়েলার্সের মালিক বিশ^জিৎ দে বিশুকে হবিগঞ্জের বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমল-১ আদালতে হাজির করেন। তারা আদালতে ১৬৪ ধারায় দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছে। এর আগে গত শনিবার দুপুরে বাহুবল ও মিরপুরে সদর থানার পুলিশ মিরপুর বাজারের মা ও বণিক জুয়েলার্সে অভিযান চালিয়ে চুরি যাওয়া কিছু স্বর্ণ উদ্ধার করে। এ সময় পরিতোষ বণিকসহ অন্যান্যরা সটকে পড়ে।
একটি সূত্র জানায়, বণিক জুয়েলার্সের মালিক পরিতোষ ও মা জুয়েলার্সের মালিক বিশ^জিৎসহ অনেকেই জেলার বিভিন্ন বাসাবাড়ি থেকে চুরি যাওয়া স্বর্ণ কম দামে কেনাবেচার সাথে জড়িত রয়েছে।
সূত্র জানায়, হবিগঞ্জ শহরের ২নং পুল এলাকার বাসিন্দা সিনিয়র স্টাফ নার্স ঝুমা আক্তারের বাসায় দিনের বেলা চুরি হয়। চোরেরা নগদ টাকা ও ১৫ ভরি স্বর্ণ নিয়ে যায়। এ বিষয়ে তিনি বাদি হয়ে সদর থানায় মামলা করেন। মামলার প্রেক্ষিতে এসআই জয়পাল অভিযান চালিয়ে চোর রিপন ও শাহিন এবং সৈয়দ আলীকে আটক করেন। তাদের রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তারা উল্লেখিতদের নাম বলে। এ বিষয়ে এসআই মমিনুল ইসলাম ও জয়পাল জানান, মামলার রহস্য অনেকটা উদঘাটন হয়েছে। ঘটনার সাথে আরো যারা জড়িত তাদের ধরা হবে।