স্টাফ রিপোর্টার ॥ হবিগঞ্জ সদর উপজেলার তেঘরিয়া ইউনিয়নের টঙ্গিরঘাট গ্রামে প্রেমের ফাঁদে ফেলে এক নারীকে ধর্ষণের ঘটনায় জুনায়েদ মিয়া (২৫) নামে প্রাণ কোম্পানীর শ্রমিককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গতকাল বুধবার দুপুর ১টার দিকে সদর মডেল থানার এসআই মমিনুল ইসলাম পিপিএমসহ একদল পুলিশ ধুলিয়াখাল এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে।
ধর্ষণের মামলা রুজু হওয়ার ২ ঘণ্টার মধ্যেই তাকে গ্রেফতার করা হয়। এদিকে মামলার বাদি নির্যাতিতাকে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ভিকটিম নারীর স্বামী মারা যাবার পর একমাত্র পুত্র সন্তানকে নিয়ে তিনি বেকায়দায় পড়েন। অভাব অনটনের কারণে প্রাণ কোম্পানীতে চাকরি নেন। সেখানে জুনায়েদের সাথে তার পরিচয় হয়। এক পর্যায়ে সে প্রেম নিবেদন করে। এতে সাড়া না দিয়ে চাকরি ছেড়ে বাড়ি চলে আসে। তবুও জুনায়েদ তার পিছু ছাড়েনি। তার বাড়ি এসে বিষের বোতল নিয়ে হুমকি দেয়। বাধ্য হয়ে ওই নারী জুনায়েদের সাথে প্রেমের সম্পর্কে জড়ায়। গত ২৯ আগস্ট সন্ধ্যায় ওই নারীর সন্তানের জন্মদিনে জুনায়েদ প্রেমিকার বাড়ি আসে। ওই দিন রাতে সে প্রেমিকাকে বাড়ি থেকে নিয়ে যায় এবং রাত ১১টার দিকে তাকে পানি দিতে বলে। পানি নিয়ে এলে জুনায়েদ তাকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে শারীরিক সম্পর্কে মিলিত হয়। এরকম বেশ কয়েকবার শারীরিক সম্পর্কে জড়ায় দুজন। এক পর্যায়ে প্রেমিকা অন্তঃস্বত্তা হয়ে পড়ে। এরপর তাকে বিয়ের কথা বললে জুনায়েদ এড়িয়ে যেতে থাকে। পরে ওই নারী সদর থানায় জুনায়েদের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা করে। জুনায়েদ সদর উপজেলার মশাজান নোয়াবাদ গ্রামের কবির মিয়ার পুত্র।
এসআই মমিন জানান, আসামি গ্রেফতারের পর সে অপরাধের কথা প্রাথমিকভাবে স্বীকার করেছে। গতকালই তাকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। ভিকটিমের ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।