স্টাফ রিপোর্টার ॥ বাহুবলে ফ্যানের সাথে গলায় ওড়না পেছানো অবস্থায় ঝুলছিল রুমা আক্তার (২৮) নামে ২ সন্তানের জননীর লাশ। রবিবার সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে উপজেলার হুরাইটেকা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, উপজেলার ৩নং সাতকাপন ইউনিয়নের হুরাইটেকা গ্রামের দরছ মিয়ার ছেলে জাহিদ মিয়া প্রায় ১৫ বছর পূর্বে বিয়ে করেন হবিগঞ্জ সদর উপজেলার পৈল ঘরেরপাড় গ্রামের শওকত আলী ওরফে কালা মিয়ার মেয়ে মোছাঃ রুমা আক্তারকে (২৮)। বিয়ের পর তাদের সংসার ভালোই চলছিলো। এরই মধ্যে তাদের ঘর আলোকিত করে জন্ম নেয় এক ছেলে ও এক কন্যা সন্তান। জাহিদ মিয়া জীবিকার তাগিদে স্ত্রী ও ছেলে মেয়ের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে সৌদি আরব চলে যান। তিনি মাঝে মধ্যে বাড়িতে এসে স্ত্রী সন্তানকে নিয়ে হাসিখুশি ভাবে জীবন যাপন করে আসছিলেন। রবিবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে তাদের বাড়িতে কোন লোকজন ছিল না। দীর্ঘ সময় আশপাশের লোকজন ঘরের দরজা বন্ধ দেখে রুমাকে ডাকাডাকি করলেও ভেতর থেকে কোন সাড়া শব্দ পাওয়া যাচ্ছিল না। সে দরজা না খোলায় সন্দেহ জাগে। পরে প্রতিবেশিরা পাশের রুমের উপর দিয়ে ঘরে উকি মেরে দেখেন ঘরের ফ্যানের সাথে গলায় ওড়না পেছানো অবস্থায় রুমার দেহ ঝুলছে। বিষয়টি রুমার মা-বাবাকে জানালে তারা এসে মেয়ের এ অবস্থা দেখে হতবাক হয়ে পড়েন। খবর পেয়ে বাহুবল মডেল থানার এস আই এখলাছুর রহমানের নেতৃত্বে একদল পুলিশ লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। পরবর্তীতে এস আই এখলাছুর রহমান ভূঁইয়া রুমার লাশের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ হবিগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়।