হবিগঞ্জ আদালতে স্বীকারোক্তি দিয়েছে দালাল মাহি ॥ ৫ সহযোগীর নাম প্রকাশ
স্টাফ রিপোর্টার ॥ হবিগঞ্জ আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে ভূয়া পরিচয়ে পাসপোর্ট করতে এসে আটক রোহিঙ্গা নারী রুবিনা আক্তার রোকেয়া (১৮) ও আমানুর রশিদ মাহিকে (২২) আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। এদিকে আমানুর রশীদ মাহি আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি দিয়েছে।
তার জবানবন্দির বরাত দিয়ে এসআই মমিনুল ইসলাম পিপিএম জানান, মাহি একজন আন্তঃজেলা দালাল চক্রের সদস্য। তার সাথে আরও বেশ কয়েকজন জড়িত। তাদের নাম সে ১৬৪ ধারায় আদালতে বলেছে। তবে যে ৫ জন রয়েছে তাদের নাম তদন্তের স্বার্থে প্রকাশ করা হচ্ছে না। অচিরেই তাদেরকে গ্রেফতার করা হবে।
এর আগে গত রবিবার (২২ অক্টোবর) দুপুরে কক্সবাজার রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাসিন্দা রুবিনা আক্তার ওরফে রোকেয়া দালাল শায়েস্তানগর এলাকার মাহিকে নিয়ে হবিগঞ্জ আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে পাসপোর্ট করতে গিয়ে আটক হয়।
জানা যায়, রোহিঙ্গা যুবতী রোকেয়া বেগম তার আবেদনে নবীগঞ্জ উপজেলার ৪নং দীঘলবাগ ইউনিয়নের বাসিন্দা মর্মে একটি জন্মনিবন্ধন সনদ দাখিল করে। যাতে দেখা যায়, ০৪-০৬-২০২১ইং তারিখে চেয়ারম্যান সালিক মিয়ার স্বাক্ষর করা। কিন্তু এ বিষয়ে চেয়ারম্যান সালিক মিয়ার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, ২০২২ সানের ফেব্রুয়ারিতে আমি যোগদান করি। এটা আমার স্বাক্ষরিত কোনো জন্মনিবন্ধন নয়।
এ ছাড়া আবেদনের সাথে সংযুক্ত পিতার জাতীয় পরিচয়পত্রে নবীগঞ্জ উপজেলার দেওতৈল এ কে হীরাগঞ্জের নজিম উল্লার পুত্র মোঃ নাজমুল হোসেন চৌধুরী ও শেখ উম্মে সেলিনা শিবু নামের এক নারীর আইডি কার্ডের ফটোকপি সংযুক্ত করা হয়। এগুলো ভূয়া বলে জানা গেছে। এ ঘটনায় পাসপোর্ট অফিসের সহকারী পরিচালক বজলুর রশীদ বাদি হয়ে মামলা করেন। এদিকে মাহি আরও জানায়, এমন পাসপোর্ট সে ৫০ হাজার থেকে শুরু করে লক্ষ টাকার বিনিময়ে করে থাকে।
সদর থানার ওসি (তদন্ত) রফিকুল ইসলাম জানান, যেহেতু মাহি আদালতে তার দোষ স্বীকার করেছে। তাকে রিমা-ে আনার প্রয়োজন নেই। তবে রোহিঙ্গা যুবতীকে আদালতের মাধ্যমে রিমা-ে এনে তার সাথে কারা জড়িত তা জানতে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। সেই সাথে অন্য ৫ জনকে ধরতে অভিযান অব্যাহত থাকবে।