একটি বৈচিত্রপূর্ণ, বর্ণাঢ্য ও সংগ্রামী জীবনের অধিকারী টানা ৩ বারের নির্বাচিত হবিগঞ্জ পৌরসভার পদত্যাগকারী মেয়র আলহাজ্ব জি কে গউছ। হবিগঞ্জের বহু চড়াই-উৎড়াইয়ের সাথে এই নামটি সম্পৃক্ত। জনসেবা আর উন্নয়ন দিয়ে যে মানুষটি হবিগঞ্জবাসীর হৃদয়ের মনিকোটায় স্থান করে নিয়েছেন তার নাম জি কে গউছ। যার প্রমাণ হবিগঞ্জ পৌরবাসী দিয়েছেন। কারাগারে থেকেও তার সর্বশেষ নির্বাচনে তিনি পৌরবাসীর ভোটে টানা ৩ বার হবিগঞ্জ পৌরসভার মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন।
সরকারী দল পরিচালনায় এবং বিরোধী দলে থেকে সরকার বিরোধী আন্দোলন সংগ্রামে রাজপথ সরব রেখে দলীয় ফোরামেও নিজের যোগ্যতা প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছেন। ৫৬ বছরের জীবনে তিনি বিভিন্ন সময়ে ১৩শ ৬৩ দিন রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হয়ে কারাভোগ করেছেন। গত ২৯ আগষ্ট আবারও রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হয়ে তিনি ঢাকায় ডিবি পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়ে কারাবন্দি রয়েছেন। সেই দিন তাকে গুম করার চেষ্টা হয়েছে। কিন্তু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেশ-বিদেশের মানুষ জেনে যাওয়ায় ডিবি পুলিশ জি কে গউছকে পরদিন ঢাকা সিএমএম কোর্টে সোপর্দ করে। একই সাথে ডিবি পুলিশ হবিগঞ্জ সদর থানায় ২০১৫ সালে জি কে গউছকে কারাগারে ছুরিকাঘাতের ঘটনায় দায়েরকৃত একটি মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করে। আদালত ২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে। রিমান্ড শেষে গত ২ সেপ্টেম্বর আবারও জি কে গউছকে ঢাকা সিএমএম কোর্টে হাজির করে আরও ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করে ঢাকার ডিবি পুলিশ। কিন্তু তিনি শারীরিকভাবে অসুস্থ হওয়ায় আদালত রিমান্ড নামঞ্জুর করে জি কে গউছকে কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগারে প্রেরণের আদেশ দেন।
২০১৫ সালের ১৮ জুলাই হবিগঞ্জ কারাগারে পবিত্র ঈদুল ফিতরের নামাজ শেষে নিজ কক্ষে যাওয়ার পথে তাকে ছুরিকাঘাত করে হত্যার চেষ্টা করেছে একাধিক খুনের মামলার আসামী ইলিয়াছ নামে এক যুবলীগ কর্মী। এতে তিনি অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে যান। যার ক্ষত তিনি এখনও বয়ে বেড়াচ্ছেন।
এ ঘটনায় হবিগঞ্জ কারাগারের জেলার মো. শামীম ইকবাল বাদী হয়ে হামলাকারী ইলিয়াছকে একমাত্র আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেন। ২০২৩ সালের ২০ জুলাই হবিগঞ্জের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ইলিয়াছ দোষী সাব্যস্ত হলে তাকে দেড় বছরের সশ্রম কারাদন্ড দেয়া হয়।
একই ঘটনায় হবিগঞ্জ সদর থানার এসআই সানা উল্লা বাদী হয়ে সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট অভিযোগে এনে পৃথক আরেকটি মামলা দায়ের করেন। এই মামলায় উল্টো জি কে গউছকেই আসামী করা হয়। দীর্ঘ ৮ বছর পর গত ৫ সেপ্টেম্বর হবিগঞ্জ সদর থানার ওসি (তদন্ত) বদিউজ্জামান এই মামলায় হবিগঞ্জ কোর্টে জি কে গউছের ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করে এই মামলায় তাকে শ্যোন এরেস্ট দেখাতে আবেদন করেন। পুলিশ আদালতকে জানায় জি কে গউছ বিগত ৮ বছর যাবত পলাতক রয়েছেন। আদালত জি কে গউছের উপস্থিতিতে শোনানীর দিন ধার্য্য করলে তাকে কেরানীগঞ্জ থেকে হবিগঞ্জ কারাগারে নিয়ে আসা হয়। গত ৫ সেপ্টেম্বর শোনানী শেষে জি কে গউছকে এই মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয় এবং পুলিশের রিমান্ড আবেদন নামঞ্জুর করে আদালত।
আদালত জি কে গউছকে ডিভিশন-১ (প্রথম শ্রেণীর বন্দির মর্যাদা) প্রদানে কারা কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন। কিন্তু আদালতের আদেশ অমান্য করে আওয়ামীলীগ নেতৃবৃন্দের চাপে কারা কর্তৃপক্ষ জি কে গউছকে ডিভিশন-১ প্রাপ্ত বন্দির সুযোগ সুবিধা দিচ্ছে না। তার পরিবার সহ কাউকে সাক্ষাত করার সুযোগ দেয়া হচ্ছে না। এতে জি কে গউছের পরিবার ও দলীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে উদ্বেগ-উৎকন্ঠা বিরাজ করছে। আবারও প্রাণনাশের মত কোনো ঘটনার আশংকা করছে তার পরিবার। কারণ কারাগারে জি কে গউছকে ছুরিকাঘাতের কিছু দিন পরেই কুখ্যাত সন্ত্রাসী খুনি ইলিয়াছ কারাগার থেকে জামিনে বেরিয়ে আসে। জামিনে মুক্ত হওয়ার পর খুনি ইলিয়াছকে কারা ফটকে ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও আওয়ামীলীগের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী তাকে সংবর্ধনা দেয়। খুনি ইলিয়াছ সেই দিন শহরে শোডাউন দিয়ে আদালত পাড়ায় মহড়া দেয়। এই দৃশ্য দেখে হবিগঞ্জবাসী সেই দিন হতবাক হয়েছিল।
জি কে গউছকে বার বার থামিয়ে দেয়ার চেষ্টা হয়েছে, জনগণের কাছ থেকে দুরে রাখার জন্য তাকে ধ্বংসের চেষ্টা হয়েছে, তাকে প্রাণনাশের চেষ্টা হয়েছে। কিন্তু জনগণের দোয়ায় এবং মহান আল্লাহ’র দয়ায় তিনি বেঁচে আছেন। এখন আবারও চুড়ান্ত ধ্বংসের চেষ্টা চলছে, ষড়যন্ত্র হচ্ছে।
১/১১ এর সময় কোনো মামলা ছাড়াই আলহাজ্ব জি কে গউছকে গ্রেফতার করে সেনাবাহিনী। সম্পূর্ণ মিথ্যা অভিযোগে তার বিরুদ্ধে ৪টি মামলা দেয়া হয়। তৎকালিন একটি প্রভাবশালী মহলের ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে ৫শ ৯১ দিন কারাভোগের পর তিনি কারামুক্ত হন। এই মামলাগুলো আদালতে মিথ্যা প্রমাণিত হওয়ায় সবকটি মামলা থেকে তিনি বেকসুর খালাস পেয়েছেন।
এরপরও আলহাজ্ব জি কে গউছের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র থেমে থাকেনি। ২০১৪ সালে সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এএমএস কিবরিয়া হত্যা মামলার ১২ বছর পর ৪র্থ সম্পূরক চার্জশীটে জি কে গউছকে আসামী করা হয়। অথচ ঘটনার সময় তিনি পবিত্র হজ্বব্রত পালনে তার পিতার সাথে পবিত্র মক্কা শরীফে অবস্থান করছিলেন। এই মামলায় জি কে গউছ স্বেচ্ছায় আদালতে আত্মসমর্পন করেন। দীর্ঘদিন কারাভোটের পর এই মামলায় উচ্চ আদালতে জামিন লাভ করেন। কিন্তু সুনামগঞ্জে সুরঞ্জিত সেন গুপ্তের জনসভায় বোমা হামলার ঘটনায় ২০০৪ সালে দায়েরকৃত একটি মামলায় জি কে গউছকে আবারও শ্যোন এরেস্ট দেখানো হয়। এই মামলায় আরও এক বছর কারাগারে তাকে আটকে রাখা হয়। টানা ৭শ ৩৯ দিন কারাভোগ করে উচ্চ আদালত থেকে তিনি জামিনে মুক্তি পান।
কারাগার থেকে জনগণের ভোটে নির্বাচিত মেয়র জনগণের নিকট ফিরে আসলেও দেয়া হয়নি দায়িত্ব। পৌরবাসীকে উন্নয়ন বঞ্চিত করতে জি কে গউছকে মেয়রের দায়িত্ব পালনে নানা প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা হয়। পরবর্তিতে হাইকোর্টের নির্দেশে ৩ মাস পর আলহাজ্ব জি কে গউছকে হবিগঞ্জ পৌরসভার মেয়রের দায়িত্ব বুঝিয়ে দেয়া হয়।
২০১৮ সালে বিএনপির দলীয় সিদ্ধান্তে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে হবিগঞ্জ-৩ আসনে ধানের শীষ মার্কা নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন আলহাজ্ব জি কে গউছ। দলের সিদ্ধান্তে মেয়রের পদ থেকেও পদত্যাগ করেন। এই নির্বাচনে রাষ্টযন্ত্রের কাছে তিনি পরাজিত হলেও হবিগঞ্জ সদর, লাখাই ও শায়েস্তাগঞ্জের মানুষের হৃদয়ের মনিকোটায় ঠাই করে নিয়েছেন। মাত্র ১ ঘন্টার ভোটে তিনি প্রায় ৭০ হাজার ভোট পেয়েছিলেন। এই নিশিরাতের নির্বাচনের পর আওয়ামীলীগের পক্ষ থেকে উল্টো ভোট চুরির অভিযোগে জি কে গউছকে প্রধান আসামী করে প্রায় ১২শ বিএনপি নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে ৪টি মামলা দেয়া হয়। এই মামলায় তিনি ১৬ দিন কারাভোগ করেন। ইতিমধ্যেই সবকটি মামলা আদালতে মিথ্যা প্রমাণিত হওয়ায় তিনি বেখসুর খালাস পেয়েছেন।
রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হয়ে জি কে গউছ বার বার ক্ষত-বিক্ষত হলেও এখন বাদ যাচ্ছে না তার পরিবারও। জি কে গউছ ছাত্রদলের রাজনীতি থেকে শুরু করে বিভিন্ন ধাপ অতিক্রম করে এখন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সমবায় বিষয়ক সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন। হবিগঞ্জ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন দীর্ঘদিন। কিন্তু তার দুই সন্তান ও দুই ভাইকে রাজনীতি থেকে দুরে রেখেছেন। তারপরও দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির আন্দোলন এবং আওয়ামী সরকার বিরোধী আন্দোলন সংগ্রামে পুলিশ ও আওয়ামীলীগের দায়েরকৃত বিভিন্ন মিথ্যা মামলায় তার দুই ভাই জি কে গাফফার ও গোলাম মাওলাকে আসামী করা হচ্ছে।
২০২১ সালে ছাত্রদলের কর্মসূচী পালনকালে পুলিশ বাঁধা দেয়। এ নিয়ে পুলিশ ও ছাত্রদল নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ হলে জি কে গউছের বাস ভবন থেকে তার ছেলে ইউনিভার্সিটি অফ লন্ডন এর তৎকালিন বার এট “ল” এর ছাত্র আলহাজ্ব মঞ্জুরুল কিবরিয়া প্রিতম, ভাই জি কে গাফফার ও ভাতিজা নটরডেম কলেজের ছাত্র আদনান ফাহাদ রাফিদকে আটক করে নিয়ে যায় সদর থানা পুলিশ। দীর্ঘ ২১ ঘন্টা থানায় থানা হাজতে আটক রাখার পর প্রিতম ও রাফিদকে ছেড়ে দেয় পুলিশ।
২০২১ সালের ২২ ডিসেম্বর বিএনপির চেয়ারপার্সন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও উন্নত চিকিৎসার দাবীতে একটি সমাবেশের আয়োজন করে হবিগঞ্জ জেলা বিএনপি। এই সমাবেশে প্রায় ১২শ রাউন্ড গুলি নিক্ষেপ করে সমাবেশটি পন্ড করে দেয় পুলিশ। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে আলহাজ্ব জি কে গউছকে প্রধান আসামী করে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের ২ হাজার নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে ২টি মামলা দায়ের করে। এই মামলায় তিনি ১৮ দিন কারাভোগ করেন।
একই ঘটনায় জেলা পরিষদ রেষ্ট হাউজ ভাংচুরের মিথ্যা অভিযোগে বিএনপির ৩/৪ শতাধিক নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে আরও একটি মামলা দায়ের করা হয়। এই মামলায় জি কে গউছকে শ্যোন এরেস্ট দেখানো হয়।
২০২২ সালের ১৯ নভেম্বর বিএনপির সিলেট বিভাগীয় গণসমাবেশ সফল করার লক্ষে লাখাই উপজেলার বামৈ বাজারে বিএনপির অস্থায়ী কার্যালয়ে এক প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আলহাজ্ব জি কে গউছ। এই সভায় পুলিশ হামলা করে ব্যাপক লাঠিচার্জ, গুলিবর্ষণ ও চেয়ার ভাংচুর করে। এতে জি কে গউছ সহ অনেক নেতাকর্মী গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হন। এ ঘটনায় পুলিশ জি কে গউছকে প্রধান আসামী করে বিএনপির ২৪৫ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করে।
গত ১৯ আগষ্ট বিএনপির কেন্দ্রীয় কর্মসূচী হবিগঞ্জ জেলা বিএনপির পদযাত্রায় পুলিশ হামলা করে ব্যাপক লাঠিচার্জ, টিয়ারশেল নিক্ষেপ ও গুলি বর্ষণ করে। এক পর্যায়ে পুলিশ জি কে গউছের বাস ভবনে প্রবেশ করে তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে গুলি বর্ষণ করেছে। এ সময় তার বাসায় আশ্রয় নেয়া বিএনপির অসংখ্য নেতাকর্মী গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হন। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে জি কে গউছকে প্রধান আসামী করে বিএনপির ১২শ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে ২টি মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়।
পরদিন ২০ আগষ্ট শান্তি সমাবেশের নামে আওয়ামীলীগ নেতাকর্মীরা শহরে মিছিল বের করে। এই মিছিল থেকে শায়েস্তানগরস্থ জেলা বিএনপির কার্যালয়ে ও জি কে গউছের বাস ভবনে হামলা করে ব্যাপক ভাংচুর করা হয়। তাদের হামলায় পার্শ্ববর্তি বাসা-বাড়িও ক্ষতিগ্রস্থ হয়। এ ঘটনায় ছাত্রলীগ নেতা মাহি বাদী হয়ে বিএনপির দুইশতাধিক নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে আরও একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করেন।
এই ৩টি মামলায় নেতাকর্মীদের জামিনের ব্যবস্থা করতে ঢাকায় যান জি কে গউছ। ২৯ আগষ্ট ৬ সপ্তাহের আগাম জামিন নিয়ে হাইকোর্ট থেকে বাসায় ফিরার পথে জি কে গউছকে উঠিয়ে নিয়ে যায় ডিবি পুলিশ। পরে আদালতের মাধ্যমে কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগারে প্রেরণ করা হয়। বর্তমানে তিনি হবিগঞ্জ কারাগারে বন্দি রয়েছেন। কারাগারে তিনি অসুস্থ। তিনি হবিগঞ্জবাসীর দোয়া কামনা করেছেন। নির্বাচন এবং জনগণ থেকে দুরে রাখতে বার বার জি কে গউছের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হয়েছে। এখন তাকে ধ্বংস করতে চূড়ান্ত চেষ্টা চলছে। তাই আসুন, জি কে গউছের এই বিপদের সময় অতিতের মত দল মত ও ধর্ম-বর্ণের উর্ধে উঠে তার পাশে দাঁড়াই।
ইনশাআল্লাহ, সকল ষড়যন্ত্রের জাল ছিন্ন করেই জনগণের জি কে গউছ জনগণের মধ্যেই ফিরে আসবে।