বদলী করা হয়েছে প্রধান শিক্ষককেও
আলমগীর কবির, মাধবপুর থেকে ॥ হবিগঞ্জে মাধবপুরে শিক্ষকের ছোড়া বেতের আঘাতে শিক্ষার্থীর চোখ নষ্টের ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষক মোর্শেদা আক্তারকে বরখাস্ত করা হয়েছে। পাশাপাশি বদলী করা হয়েছে বিদ্যালয়ের (সংযুক্তি) প্রধান শিক্ষককেও। মোর্শেদা আক্তার বানিয়াপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক। তাছাড়া বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সানজিদা পারভিনকে ভান্ডারুয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সংযুক্তি প্রদান (বদলী) করা হয়েছে। জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার গোলাম মাওলা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
প্রসঙ্গত, গত বুধবার সকালে উপজেলার চৌমুহনী ইউনিয়নের উত্তর বানিয়াপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ক্লাস চলাকালিন সময়ে ওই বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা মোর্শেদা বেগম দুষ্টুমি করার অভিযোগে শ্রেণিকক্ষে অবস্থানরত মেহেদি হাসানকে লক্ষ্য করে সজোরে তার হাতে থাকা বাঁশের বেত ছুড়ে মারেন। এটি মেহেদি হাসানের ডান চোখে গিয়ে আঘাত করে। এতে মেহেদি হাসানের চোখ রক্তাক্ত জখম হয়। খবর পেয়ে স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে মাধবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকাস্থ আগারগাঁও চক্ষু হাসপাতালে রেফার করেন। ওই সময় মাধবপুরে একটি মতবিনিময় সভায় অবস্থানরত জেলা প্রশাসক দেবী চন্দ ঘটনা শুনে বিষয়টি তদন্ত করে দায়ি শিক্ষিকার বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন।
গতকাল রবিবার হবিগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মোঃ সাদিকুর রহমান, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার গোলাম মাওলা, মাধবপুরের ইউএনও মনজুর আহ্সান, শিক্ষা অফিসার জাকিরুল হাসান, স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমান সোহাগ বিদ্যালয়ে যান। সেখানে তারা সরেজমিনে ঘটনা সম্পর্কে বিস্তারিত খোঁজখবর নেন এবং এলাকাবাসীর সাথে কথা বলেন। এলাকাবাসী অভিযুক্ত শিক্ষকের শাস্তির দাবিতে ক্ষুব্ধ হয়ে উঠলে কর্মকর্তাগণ অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন। এতে পরিস্থিতি অনেকটা শান্ত হয়। এর পরই সহকারী শিক্ষক মোর্শেদা খাতুনকে সাময়িক বরখাস্ত ও প্রধান শিক্ষক সানজিদা পারভিনকে অন্য একটি বিদ্যালয়ে সংযুক্তির আদেশ জারি করা হয়।
© স্বত্ব দৈনিক হবিগঞ্জের মুখ ২০১৯
ওয়েবসাইটটি তৈরী করেছে ThemesBazar.Com