স্টাফ রিপোর্টার ॥ গরম ও হালকা বাতাসের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে হবিগঞ্জ শহরে বিদ্যুতের ভেলকিবাজি। শহরে দিনে রাতে অসংখ্যবার বিদ্যুত আসা-যাওয়া করছে। কোনো কোনো এলাকায় বিদ্যুতের লো ভোল্ডেজ চলছে। এতে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন গ্রাহকরা। তবে শায়েস্তানগর, ঈদগাহ বাইপাস সড়কে গত ১ সপ্তাহ ধরে ভোল্টেজ ওঠানামা করায় বিভিন্ন ইলেকট্রিক সামগ্রী নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এ ছাড়া প্রায় সারাদিনই থাকছে লোডশেডিং। আর সন্ধ্যা নামার সাথে সাথেই শুরু হয় থেমে থেমে লোডশেডিং, চলে রাতভর। প্রচ- ভ্যাপসা গরমের মধ্যে বিদ্যুত না থাকায় মানুষের নাভিশ্বাস উঠেছে। সব মিলিয়ে বিদ্যুতের এই ভেলকিবাজিতে অতিষ্ঠ গ্রাহক।
লোডশেডিং, টেকনিক্যাল সমস্যা, ওভার লোড ও লো-ভোল্টেজ ছাড়াও রয়েছে ঘন ঘন ট্রিপ ও সোর্স লাইন রক্ষণাবেক্ষণের কাজ। সর্বোপরি বর্ষা মৌসুমে আকাশে মেঘ জমতে দেখলেই শুরু হয় বিদ্যুতের ভেলকিবাজি। আর একটু বৃষ্টি হলে তো আর কয়েক ঘণ্টার জন্য বিদ্যুত সংযোগ বন্ধ থাকবেই। সেটা যেন নিয়মেই পরিণত হয়েছে। বিদ্যুতের লো ভোল্টেজের কারণে ইলেকট্রিক সামগ্রী ফ্রিজ, পানির মোটর, টিভি, লাইটসহ সরঞ্জাম নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। বারবার পিডিবির অভিযোগ কেন্দ্রে বলার পরও তারা কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছেন না।
অন্যদিকে বিদ্যুত থাক বা না থাক মাস শেষে মোটা অঙ্কের বিদ্যুত বিল ধরিয়ে দিতে ভুল করে না বিদ্যুত বিভাগ। এ থেকে পরিত্রাণ পেতে প্রিপেইড মিটার চাইলে বিদ্যুত কর্তৃপক্ষ জানায় প্রিপেইড মিটার নেই। ফলে গ্রাহকদের ভোগান্তির যেন শেষ নেই।
দিনের বেলা কমপক্ষেও ৭-৮ বার বিদ্যুত যাওয়া-আসা করে। গত কয়েকদিন ধরে তো দিনের বেশির ভাগ সময়ই বিদ্যুত সরবরাহ বন্ধ থাকছে। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছেন গ্রাহকরা। গ্রাহকরা বলছেন, সামনে রমজান মাস। রমজান মাসে প্রচ- গরমের আশংকা রয়েছে। বিদ্যুৎ না থাকলে মানুষজন আরও বেশি ভোগান্তিতে পড়বেন।
এ বিষয়ে পিডিবির নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল মজিদ বলেন, ঝড়ের কারণে শহরের বিভিন্ন এলাকায় তার ছিড়ে গেছে। কয়েকদিনের ভেতরেই সমাধান হয়ে যাবে।