স্টাফ রিপোর্টার ॥ ছাত্রজীবনে বহুমুখি প্রতিভার অধিকারী, পেশাগত ও ব্যক্তিগত জীবনে খ্যাতি অর্জনকারী হবিগঞ্জের কৃতি সন্তান, লন্ডন প্রবাসী দেওয়ান হাবিব চৌধুরী ইন্তেকাল করেছেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। মঙ্গলবার লন্ডন সময় বেলা প্রায় ২টায় আকস্মিক হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে তিনি ইন্তেকাল করেন। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, দুই পুত্র, দুই কন্যাসহ অসংখ্য আত্মীয় স্বজন ও গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
লন্ডন প্রবাসী হবিগঞ্জের কৃতি সন্তান অলিউর রহমান দৈনিক হবিগঞ্জের মুখকে জানান, দেওয়ান হাবিব চৌধুরী সপরিবারে করোনা আক্রান্ত ছিলেন। চিকিৎসা শেষে সম্প্রতি তারা সুস্থ হয়ে বাসায় ফেরেন। পরিবারের সবাই সুস্থ হলেও তার হার্টের সমস্যা ছিল দীর্ঘদিন ধরেই। তার হার্টে রিং পরানো হয়েছে। তারপরও তিনি স্বাভাবিক হতে পারছিলেন না। মঙ্গলবার হঠাৎই তিনি মারা যান। এ খবর ছড়িয়ে পড়ার সাথে সাথে বাঙালি কমিউনিটিতে শোকের ছায়া নেমে আসে।
দেওয়ান হাবিব চৌধুরী হবিগঞ্জ ডিস্ট্রিক্ট ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনসহ নানা সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠনের সাথে জড়িত ছিলেন। তিনি একজন স্বনামধন্য মরমী লেখক, কবি ও গীতিকার ছিলেন। তার লেখা অনেক গান শ্রোতাদের মাঝে ব্যাপক আলোড়ন তুলে। তার লেখা-
‘আমি যে পাথর খোঁজছি
তাহাতো আমি পাইলাম না
যে পাথর খোঁজছি আমি
সেই পাথরতো পাইলাম না
আমি খোঁজেও পাইলাম না।’
‘জলিলো জব্বার তুমি রোজ হাসরে
জানি না ক্ষমা পাবো কি না
ইহকালে ডাকি ক্ষমা করো মোরে
আছো তুমি রহিমোরাহমান রূপে।
জলিলো জব্বার তুমি রোজ হাসরে।’
‘বুকটা আমার জ্বলছে
শুধু তোমার বেদনায়
হাসিতে চাইলে
হাসিতে পারিনা
মুখটা পুড়াপুড়া দেখায়
শুধু তোমার বেদনায়।’
‘অন্তরে আজোবদি মনে পড়ে
তোর কথা বন্ধু
আজোবদি মনে পড়ে।
মনের বাগান সাজাইলাম
তোর লাইগা বন্ধু
তোর লাইগা রে
অন্তরে আজোবদি মনে পড়ে’
সহ তার লেখা অসংখ্য আধ্যাত্মিক গান শ্রোতাদের মাঝে সাড়া ফেলে।