আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে ভেঙে ফেলা হয়েছে আরও দুটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান
স্বপন বণিক, আজমিরীগঞ্জ থেকে ॥ হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে ১২টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে আরও দুটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভেঙে ফেলা হয়েছে। অগ্নিকান্ডের ঘটনায় অন্তত অর্ধকোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে আশংকা করছেন ব্যবসায়ীরা। গতকাল সোমবার বিকেলে আজমিরীগঞ্জ পৌর এলাকার লাল মিয়া বাজারে এ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়- লাল মিয়া বাজারের ব্যবসায়ী মখলিছ মিয়ার পেট্রোলের দোকানে বিদ্যুতের শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। মুহূর্তেই আগুন ভয়াবহ আকার ধারণ করে পাশের বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ছড়িয়ে পড়ে। আগুন নিয়ন্ত্রণে স্থানীয়রা আপ্রাণ চেষ্টা চালান। প্রায় ২ ঘন্টার চেষ্টায় অবশেষে শ্যালো পাম্পের মাধ্যমে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়। কিন্তু এরই মধ্যে ১২টি প্রতিষ্ঠান পুড়ে ছাই হয়ে যায়। এছাড়া আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে আরও দুটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভেঙে ফেলা হয়। আগুন নিয়ন্ত্রণে আসার পর হবিগঞ্জ থেকে ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছায়।
ব্যবসায়ীদের দাবি, অগ্নিকান্ডের ঘটনায় তাদের অন্তত অর্ধকোটি টাকার বেশী ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। পুড়ে যাওয়া ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে রয়েছে- মখলিছ মিয়ার পেট্রোলের দোকান, সেন্টু আহমেদের সাইকেল সহ বিভিন্ন পার্টসের দোকান, সফিকুল মিয়া এবং সুরঞ্জিত সুত্রধরের মোটর সাইকেল সার্ভিসিং সেন্টার, উপান্দের দোকান, অজিত সুত্রধর, রাংকু সুত্রধর, অভিমন্য সুত্রধর, শংকর সুত্রধরের ফার্নিচার তৈরির দোকান, জামাল মিয়ার কম্পিউটারের দোকান, প্রমতোষের ফটো স্টুডিও সহ কয়েকটি দোকান।
আগুনের খবর পেয়ে আজমিরীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মতিউর রহমান খান, উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) উত্তম কুমার দাশ, আজমিরীগঞ্জ পৌরসভার প্রশাসক গোলাম ফারুক, থানার অফিসার ইনচার্জ মোশারফ হোসেন তরফদার ও উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মনোয়ার আলী সহ প্রশাসনের কর্মকর্তা ও জনপ্রতিনিধিরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
এ বিষয়ে ইউএনও মতিউর রহমান খাঁন বলেন- খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জেনে আমরা দ্রুত জেলা প্রশাসক বরাবর রিপোর্ট পাঠাবো।