হবিগঞ্জে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে সবজি সহ নিত্যপণ্যের দাম
টমেটো ১২০ বেগুন ৮০ পটল ৭০ কাকরুল ৭০ মুলা ৬০ আলু ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে

এসএম সুরুজ আলী ॥ হবিগঞ্জে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে নিত্য প্রয়োজনীয় সবজির দাম। এতে সকল শ্রেণীর মানুষই বাজারে সবজি ক্রয় করতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছেন। নি¤œ আয়ের লোকজনতো এখন বাজারে যেতে সাহসই পাচ্ছে না। বাজারে অনেক সবজি পর্যাপ্ত পরিমাণ পাওয়াও যাচ্ছে না। গত এক সপ্তাহ ধরে বাজারে বেড়েছে সব ধরনের সবজির দাম। বাজারে অধিকাংশ সবজির দাম প্রতি কেজিতে গড়ে ২০/২৫ টাকা বেড়েছে। আবার কোন সবজির দাম কেজিতে ৩০ টাকাও বেড়েছে। তবে কাঁচা মরিচের দাম বেড়েছে বহুগুণ। এক সপ্তাহ আগে প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ ১০০/১২০ টাকা দামে বিক্রি হলেও গতকাল বাজারে প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ ২৪০/২৬০ টাকা দামে বিক্রি হচ্ছে। তবে ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন কাঁচা মরিচের দাম আরো বাড়বে। ব্যবসায়ীরা জানান, সবজির আমদানি কম হওয়ার কারণে প্রতিদিন দাম বাড়ছে। এছাড়াও পেঁয়াজের দামও নিয়ন্ত্রণের বাহিরে চলে যাচ্ছে। বাজার সঠিকভাবে মনিটরিং না করার কারণে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বাড়ছে বলে মনে করছেন ক্রেতারা।
হবিগঞ্জ শহরের চৌধুরী বাজার কাঁচামাল হাটায় সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে সবজিসহ নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের আকাশছোয়া দাম। চৌধুরী বাজার কাঁচামাল হাটায় গত ১ সপ্তাহ আগে প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ ১০০/১২০ টাকা দামে বিক্রি হলেও গতকাল বাজারে প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ ২৪০/২৬০ টাকা দামে বিক্রি হতে দেখা গেছে। এক সপ্তাহ আগে প্রতি কেজি কাকরুল ৫০/৫৫ টাকা দামে বিক্রি হয়েছে এখন ৭০ টাকা দামে বিক্রি হচ্ছে। পেপে প্রতি কেজি ২০টাকার স্থলে ৪০ টাকা, দেশী টমেটো ৬০ টাকার স্থলে প্রতি কেজি ৮০ টাকা, বিদেশী টমেটো ১০০ টাকার স্থলে ১২০ টাকা, মুলা ৪০ টাকার স্থলে ৬০ টাকা, ললিতা আলু ৩৪/৩৫ টাকার স্থলে ৪৫ টাকা, দেশী আলু ৪০ টাকার স্থলে ৫০ টাকা দামে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়াও সীম প্রতি কেজি ১২০ টাকা, পাতাকপি ১০০ টাকা, ফুলকপি ১২০ টাকা, ঝিঙা ৭০ টাকা, ঢেঁড়স ৫৫/৬০ টাকা, গাজর ৭০ টাকা, বরবটি ১০০ টাকা, মিষ্টিকুমড়া ৪০/৮০ টাকা, লাউ ৪০, ছোট কচু ৪৫, তিতকরলা ৬০ টাকা, বেগুন ৮০ টাকা, পটল ৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। পুঁইশাক, কচুশাক, কলমিশাক, লালশাক, কুমড়োশাক ও পাটশাকের দামও বেড়েছে আঁটি প্রতি পাঁচ টাকা। লালশাক বিক্রি হচ্ছে ৩০/৩৫ টাকা কেজি। প্রতি কেজি দেশী পেঁয়াজ ৮৫/৯০ টাকা দামে বিক্রি হচ্ছে। তবে গ্রামগঞ্জের হাট বাজারগুলোতে প্রতি কেজি পেঁয়াজ ১০০/১১০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। শহরের বিভিন্ন স্থানে খুচরা দোকানগুলোতে প্রতি কেজি পেঁয়াজ অতিরিক্ত দামে বিক্রি হচ্ছে। চৌধুরী বাজারের খুচরা কাঁচামাল ব্যবসায়ী নূরুল আমিন জানান, দেশের বিভিন্ন স্থানে বন্যায় সবজি বিছড়াগুলো তলিয়ে যাওয়ার কারণে বাজারে সবজির আমদানি কম। যে কারণে প্রতিদিন সবজির দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে। আমদানি বেশি হলে বাজার নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে।
বানিয়াচং উপজেলার আতুকুড়া গ্রামের ব্যবসায়ী আলাউদ্দিন জানান, বাজারে প্রতিদিন নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বেড়েই চলছে। এভাবে দাম বাড়লে নি¤œ আয়ের লোকজন কিভাবে ক্রয় করবেন। তিনি কাঁচামালের বাজার মনিটরিং করার জন্য প্রশাসনের কাছে জোর দাবি জানান।