খারাপ সঙ্গের কারণেই শিক্ষার্থীরা মাদকের সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে ॥ পুলিশ সুপার মোহাম্মদ উল্ল্যা
স্টাফ রিপোর্টার ॥ বানিয়াচং উপজেলার ১২নং সুজাতপুর ইউনিয়নের ইকরাম গ্রামের শ্রী শ্রী জগনাথ জিউর আখড়ার সংস্কার কাজের উদ্বোধন করা হয়েছে। রবিবার দুপুরে প্রধান অতিথি হিসেবে সংস্কার কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন হবিগঞ্জের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ উল্ল্যা। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শেখ মোঃ সেলিম, জেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পূজা উদযাপন কমিটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক শংকর পাল, জেলা হিন্দু, বৌদ্ধ ঐক্য পরিষদের সভাপতি জগদীশ চন্দ্র মোদক, জেলা পূজা উদযাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক শঙ্খ শুভ্র রায়, আলেয়া-জাহির কলেজের অধ্যক্ষ প্রার্থ প্রীতম দাশ, বানিয়াচং থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ এমরান হোসেন, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী পংকজ সাহা, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী নিরঞ্জন সাহা নিরু, যমুনা টিভির জেলা প্রতিনিধি প্রদীপ দাশ সাগর, একাত্তর টিভির জেলা প্রতিনিধি শাকিল চৌধুরী, জেলা হিন্দু-বৌদ্ধ-ঐক্য পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক বিপ্লব কুমার রায় সুজন, বিশ্বজিৎ আচার্য্য, সুধীর সরকার সরকার, বানিয়াচং হিন্দু, বৌদ্ধ ঐক্য পরিষদের কাজল চ্যাটার্জী। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল কুদ্দুছ শামীম। অনুষ্ঠানে জেলা জাপার নেতা শংকর পাল ১শ’ বস্তা সিমেন্ট, ব্যবসায়ী নিরঞ্জন সাহা নিরু ৫০ হাজার টাকা ও ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল কুদ্দুছ শামীম ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে আখড়ার ইউনিয়নের জন্য ৫০ হাজার টাকা অনুদান ঘোষণা করেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ উল্ল্যা বিপিএম পিপিএম বলেন- মাদক সকল পাপের মূল। মাদক যারা গ্রহন করে তাদের বেশীর ভাগই চুরি ডাকাতি, ছিনতাইসহ খুনের মতো জঘন্য কাজে জড়িয়ে পড়ছে। সন্তানকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাঠিয়েই আপনার দায়িত্ব শেষ মনে করলে হবে না। খোঁজ রাখুন কার সাথে আপনার সন্তান উঠাবসা করে। সন্ধ্যার পর বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হতে দেবেন না। খারাপ সঙ্গের কারণেই শিক্ষার্থীরা মাদকের সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে। মনে রাখবেন আপনার সন্তান আপনার ভবিষ্যত। বর্তমানে হবিগঞ্জ জেলার আইন-শৃঙ্খলার উন্নয়নসহ আমুল পরিবর্তন হয়েছে। এখন আর আগের মতো গ্রাম্য দাঙ্গা হয় না। গ্রাম্য দাঙ্গায় টেটা ফিকলের ঝনঝনানি শোনা যায় না। বিভিন্ন শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠার পাশাপাশি গ্রাম্য দাঙ্গা কমে এসেছে। তিনি বিভিন্ন অভিযোগের ভিত্তিতে বলেন- কোথাও কেউ মন্দিরের জায়গা দখল করে থাকলে তা স্বেচ্ছায় ছেড়ে দিন, অন্যথায় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
অনুষ্ঠানে জেলা পূজা উদযাপন কমিটির নেতৃবৃন্দ আখড়ার জায়গা উদ্ধার করে দেয়ায় পুলিশ সুপারের কাছে কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন। অনুষ্ঠানে শেষে পুলিশ সুপার শিক্ষার্থীদের মাঝে বই ও খাতা বিতরণ করেন।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি আখড়ার প্রায় দেড় কোটি টাকা মূল্যের সম্পত্তি প্রভাবশালী দখলদারের কবল থেকে উদ্ধার করে পুলিশ।