মতিউর রহমান মুন্না, নবীগঞ্জ থেকে ॥ হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার সুজাপুর বেরী বিল নিয়ে দু’পক্ষ দীর্ঘদিন ধরে মুখোমুখি অবস্থানে ছিলেন। বড় ধরনের সংঘষের্র আশঙ্কা ছিল স্থানীয়দের। অবেশেষে নবীগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন কর্তৃক বেরী বিল এর সীমানা নির্ধারণ করা হয়েছে। উক্ত সীমানার মধ্যে ইজারাদার ব্যতীত মৎস্য আহরণ নিষিদ্ধ ঘোষণাও করে প্রশাসন। গত মঙ্গলবার বিকেলে নবীগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সুমাইয়া মমিন বিলে উপস্থিত হয়ে উক্ত সীমানা নির্ধারণ করেন।
সূত্রে জানা যায়, উপজেলার বাউসা ইউপির সুজাপুর বেরী বিল নামক জলমহালটির নিয়ে গ্রামের দু’পক্ষের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। এ নিয়ে বিভিন্ন পত্রিকায় ফলাও করে সংবাদ প্রকাশ হয়। এ অবস্থায় বিষয়টি সমাধানের উদ্যোগ নেন নবীগঞ্জ-বাহুবল সার্কেলের সিনিয়র এএসপি পারভেজ আলম চৌধুরী। বিরোধটি নিষ্পত্তির লক্ষ্যে প্রায় ১০ মাস পূর্বে নবীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আজিজুর রহমান ও সেকেন্ড অফিসার এসআই শামসুল ইসলামের সহযোগিতায় সার্কেল এএসপির অফিসে উভয়পক্ষকে নিয়ে বৈঠকে বসেন। বৈঠকে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানসহ এলাকার সালিশ বিচারক ও মুরুব্বিয়ান উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে উভয়পক্ষ মিলে জলমহাল ফিশিং করে লভ্যাংশ সমান ভাগে ভাগ করে নেয়ার সিদ্ধান্ত হয়। পুলিশের হস্তক্ষেপে বিষয়টি নিষ্পত্তি হওয়ায় এলাকার পরিস্থিতি তখন স্বাভাবিক হয়।
এদিকে সম্প্রতি বেরী বিল নিয়ে ফের দেখা দেয় বিরোধ। উক্ত বিলে মৎস্য আহরণ নিয়ে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ উঠে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে উপজেলা প্রশাসন কর্তৃক গত মঙ্গলবার বিকেলে সুজাপুরস্থ বেরী বিলের সীমানা নির্ধারণ করা হয়।
এ ব্যাপারে নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মহিউদ্দিন জানান, উক্ত বিলে মৎস্য আহরণ নিয়ে পাল্টাপাল্টি অভিযোগের প্রেক্ষিতে নবীগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সুমাইয়া মমিন এর উপস্থিতিতে সার্ভেয়ার কর্তৃক ব্যক্তি মালিকানা ভূমির সহিত বিলের সীমানা চিহ্নিত করে লাল পতাকা দ্বারা সীমানা নির্ধারণ করা হয়েছে। এ সময় আইনগত সহায়তা করে নবীগঞ্জ থানা পুলিশ। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন ওই ওয়ার্ডের মেম্বার, বিলের ইজারা গ্রহিতাসহ স্থানীয় বাসিন্দারা।