কৌশলগত কারণে অধিকাংশ প্রার্থীই দলীয় পরিচয় ব্যবহার করতে নারাজ
মঈন উদ্দিন আহমেদ ॥ সাবাসপুর, লেঞ্জাপাড়া দক্ষিণ ও দাউদপুর নিয়ে শায়েস্তাগঞ্জ পৌরসভায় ৮নং ওয়ার্ড। এ ওয়ার্ডে রাস্তাসহ বেশ কিছু উন্নয়নমূলক কাজ হলেও এখনো অনেক ফাড়ি রাস্তা রয়েছে অনুন্নত। অনেক স্থানে পর্যাপ্ত সড়ক বাতি নেই। আর এ কারণে ওয়ার্ডবাসীকে দুর্ভোগ পোহাতে হয়। সরেজমিনে ৮নং ওয়ার্ড ঘুরে ভূক্তভোগীদের কাছ থেকে এ তথ্য জানা গেছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন ভূক্তভোগী জানান- এ ওয়ার্ডে হতদরিদ্র লোকসংখ্যা কম। তাই ওয়ার্ডবাসীর মাঝে রিলিফের হাহাকার নেই। এ ওয়ার্ডের লোকজনের চাওয়া তাদের ওয়ার্ডে যেন অবকাঠামোগত উন্নয়ন হয়। রাস্তা-ঘাট, পর্যাপ্ত ড্রেনেজ ব্যবস্থা ও রাতে পথ চলতে যেন ভয় নিয়ে না চলতে হয়। যদিও সম্প্রতি বেশ কিছু উন্নয়নমূলক কাজ করা হচ্ছে। তারপরও এ ওয়ার্ডের বাসিন্দারা সামাজিক নিরাপত্তার অভাব বোধ করেন। সম্প্রতি এ ওয়ার্ডে বেশ কয়েকটি চুরির ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু কোন নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি অভিভাবক হয়ে এ ব্যাপারে কোন দায়িত্ব নেননি। এ ঘটনা আমাদের মর্মাহত করেছে। নির্বাচিত জনপ্রতিনিধির কাছে প্রত্যাশা থাকবে তারা আমাদের কোন সমস্যা হলে আমাদের অভিভাবকের দায়িত্ব পালন করবেন। বিপদে আপদে আমাদের পাশে থাকবেন। তাছাড়া সাম্প্রতিককালে এ ওয়ার্ডে কিছুটা সামাজিক নিরাপত্তার অভাব দেখা দিয়েছে। অভিযোগ রয়েছে কিছু কিছু স্থানে মাদক সেবনের ঘটনাও ঘটছে। নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিকে এ বিষয়টিকেও গুরুত্ব দিয়ে দেখতে হবে। আগামী নির্বাচনে যিনিই জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হবেন তার কাছে এটাই থাকবে আমাদের প্রত্যাশা।
এবারের নির্বাচনে শায়েস্তাগঞ্জ পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সম্ভাব্য ৫ প্রার্থীর নাম শোনা যাচ্ছে। সম্ভাব্য কাউন্সিলর প্রার্থীরা হলেন- বর্তমান কাউন্সিলর খায়রুল আলম, সাবেক কাউন্সিলর ও প্যানেল মেয়র আবু তাহের তালুকদার, আব্দুল আহাদ, শায়েস্তাগঞ্জ পৌর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক তালুকদার মোঃ আফজাল ও পৌর যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ জুনাইদ তালুকদার।
প্রসঙ্গত, আগামী ডিসেম্বর মাসে শায়েস্তাগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে এমন খবরে সম্ভাব্য মেয়র, কাউন্সিলর ও মহিলা কাউন্সিলর প্রার্থীদের মাঝে প্রাণচাঞ্চল্য দেখা দিয়েছে। আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও স্বতন্ত্রসহ সম্ভাব্য মেয়র প্রার্থীরা মাঠে নেমে পড়েছেন। বসে নেই কাউন্সিলর প্রার্থীরাও। সম্ভাব্য কাউন্সিলর প্রার্থীরা করোনা ভাইরাসের কারণে প্রকাশ্যে সভা সমাবেশ করে বা কর্মী সমর্থকদের নিয়ে প্রচার প্রচারণা চালাতে না পারলেও তারা নিরবে নিভৃতে চালিয়ে যাচ্ছেন প্রচার প্রচারণা। সাধারণ ওয়ার্ডের সম্ভাব্য কাউন্সিলর প্রার্থীদের পাশাপাশি সংরক্ষিত ওয়ার্ডের মহিলা কাউন্সিলর প্রার্থীরাও মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন। স্থানীয় সংবাদপত্রে সংবাদ প্রকাশে প্রথমদিকে সম্ভাব্য কাউন্সিলর প্রার্থীরা নিজেদের দলীয় পরিচয় দিতে উৎসাহী হলেও বর্তমানে তাদের এ ব্যাপারে অনীহা লক্ষ্য করা গেছে। কৌশলগত কারণে অধিকাংশ প্রার্থীই দলীয় পদ পদবী ব্যবহার করতে নারাজ।