মাদ্রাসা শিক্ষা পরিচালনার জন্য গঠিত বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডে দেশের নানান প্রান্ত থেকে প্রতিদিন অসংখ্য লোক ছুটে আসেন। অনেকেই পড়েন দালালদের খপ্পরে। হন প্রতারিত। বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে মাদ্রাসা বোর্ডকে আধুনিকায়নের জন্য কার্যক্রম অনলাইনের মাধ্যমে সমাধানের বিষয়ে ভাবছে বোর্ড।
রাজধানীর মাদ্রাসা বোর্ডে সরজমিন ঘুরে নানান অনিয়ম আর শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অভিভাবকদের ভোগান্তি নজরে আসে। এ নিয়ে দৈনিক মানবজমিনে ‘মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড পদে পদে দালালের ফাঁদ’ শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশ হয়। এই বিষয়ে মাদ্রাসা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর কায়সার আহমেদ বলেন, আমরা এরই মধ্যে অভ্যন্তরীণ কিছু কাঠামোগত পরিবর্তন এনেছি। আমাদের অফিসাররা সর্বদা মানুষের সহায়তায় কাজ করে যাচ্ছেন। বিভিন্ন অঞ্চল থেকে অনেক লোক আসায় কিছু সমস্যা হয় বলে আমরা জানতে পেরেছি।
অনেক অঞ্চল থেকে অনেক ধরনের লোক আসায় প্রতারকরা সুযোগ পেয়ে যায়। কিন্তু তারা বোঝেন না যে, এরা প্রতারণা করছে। এই কাজ এমনিতেই কিছুদিনে হয়ে যেত। অনেকে আবার আসেন কারো মাধ্যমে, আর যার মাধ্যমে আসেন তিনি হয়তো আগেই বলে দেন- অমুকের কাছে যান। এর ফলে তিনি আমাদের বোর্ডে আসার আগেই প্রতারণার শিকার হয়ে বসেন।
তিনি আরো বলেন, আমরা আমাদের যাবতীয় কার্যক্রম অনলাইনে নিয়ে আসার জন্য কাজ করে যাচ্ছি। এরই মধ্যে আমরা বেশ কিছু পরিকল্পনাও নিয়েছি। আমরা সোনালী ব্যাংকের সঙ্গে একটি চুক্তি করবো যার ফলে যাদের দরকার তারা দেশের যে কোনো প্রান্তে সোনালী ব্যাংকের যে কোনো শাখায় টাকা জমা দিতে পারবেন। ঢাকাতে এসে নির্দিষ্ট কোনো শাখায় জমা দিতে হবে না। টাকা জমার পর রশিদের নম্বর অনলাইন আবেদনে যুক্ত করে দিলেই হবে।