হবিগঞ্জের মুখ রিপোর্ট ॥ করোনা ভাইরাস সংক্রমণে পুরো ইতালির পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। ভয় আর আতঙ্ক বিরাজ করছে সর্বত্র। পুরো দেশকে সুরক্ষা জোন ঘোষণা করা হয়েছে। বুধবার সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রী গুসেপ্পে কোন্টে জরুরি সংবাদ সম্মেলন করে এ ঘোষণা দেন। ৭ মার্চ পর্যন্ত ১৪টি প্রদেশকে রেড জোনের আওতায় আনা হয়েছিলো। যেখানে করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি এবং সেই সকল অঞ্চলে মানুষের প্রবেশাধিকার ও বের হওয়ার অধিকার ছিলনা। ঘর থেকে বের হওয়ার নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়। কার্যত অবরুদ্ধ ইতালি।
গত দুইদিনে আক্রান্তের সংখ্যা ও মৃতের সংখ্যা এত পরিমাণ বেড়ে যায় যে শুধু ১৪টি প্রদেশ বা অঞ্চলই নয় তার বাইরে পুরো দেশকে রেড জোন, এবং প্রোটেক্ট জোন বা সংরক্ষিত এলাকা হিসাবে ঘোষণা করা হয়েছে। এখানে বলা হয় যে, এই সংরক্ষিত অঞ্চলের এই সময়গুলোতে ঘর থেকে অতি প্রয়োজন ছাড়া বের হতে পারবে না। যেমন কাজে যাওয়া, হসপিটালে কিংবা পুলিশের কাছে যাওয়া এমন কোন জরুরি কাজ ছাড়া ঘর থেকে বের হওয়া যাবে না। এ সময় অপ্রয়োজনীয় ঘুরাঘুরি করা মানুষদের জেল ও জরিমানা হতে পারে। সব স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে আগামি ৩ এপ্রিল পযন্ত। সেই সাথে কালচারাল অনুষ্ঠান, থিয়েটার, সিনেমা, খেলাধুলা, প্রতিযোগিতা সবকিছু বন্ধ করা হয়েছে। নাইটবারগুলো বন্ধ থাকবে। বার, রেস্টুরেন্ট ও পাব, এই ধরনের প্রতিষ্ঠান সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত খোলা থাকতে পারবে। যেখানে মানুষ খুব বেশি আসতে পারে এরকম জায়গায় মানুষদের একমিটার দুরত্বে অবস্থান করতে হবে। কোন ভাবেই একমিটারের বেশি কাছাকাছি কেউ কারো কাছে থাকতে পারবে না। যদি এরম পরিস্থিতি তৈরী হয় এবং যদি কন্ট্রোল হয় আর ধরা পরে কোন মানুষ তাহলে সেই প্রতিষ্ঠানও বন্ধ করে দিতে পারে যদি আইনগুলো না মানা হয়। অতিরিক্ত প্রয়োজন ছাড়া হাসপাতালে যেতে নিষেধ করা হচ্ছে। বেশি জরুরি হলে বাসাতেই ডাক্তার ডাকতে বলা হচ্ছে।
এদিকে করোনার প্রভাবে এখানকার অর্থনীতি স্থবির হয়ে পড়েছে। এর প্রভাব পড়েছে বাংলাদেশীদের ওপরও। কারণ বাংলাদেশীরা যে ধরণের কাজ করে সেখানে লোক ছাটাই হচ্ছে। ফলে শঙ্কায় রয়েছেন সে দেশে বসবাসকারী বাংলাদেশিরা।