নাতিরাবাদে নির্বাচনী সভায় জি কে গউছ
স্টাফ রিপোর্টার ॥ হবিগঞ্জ-৩ আসনে বিএনপির মনোনীত জাতীয় সংসদ সদস্য প্রার্থী এবং বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ও টানা ৩ বারের নির্বাচিত হবিগঞ্জ পৌরসভার পদত্যাগকারী মেয়র আলহাজ্ব জি কে গউছ বলেন, জনগণের আস্থা ও ভালবাসাই বিএনপির সবচেয়ে বড় শক্তি। বিএনপি মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য গত ১৭টি বছর আন্দোলন করেছে। তাই গণতন্ত্রের স্বার্থে, উন্নয়নের স্বার্থে, মানুষের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠার স্বার্থে ধানের শীষে ভোট দিন। ধানের শীষ মানুষের অধিকার ও গণতন্ত্রের প্রতীক। আগামী নির্বাচনে ধানের শীষের বিজয় নিশ্চিত করতে তিনি সকলের প্রতি আহ্বান জানান। গতকাল সোমবার রাতে নাতিরাবাদে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে হবিগঞ্জ পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ড বিএনপির নির্বাচনী মতবিনিময় সভায় তিনি প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন।
সভায় জি কে গউছ আরও বলেন, আওয়ামী লীগ দেশ বিরোধী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। কিন্তু আমাদের মনে রাখতে হবে, ধর্ম যার যার রাষ্ট্র সবার। রাষ্ট্রের প্রতি আমাদের সকলের দায়িত্ব রয়েছে। আগামী ফেব্রুয়ারিতে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আয়োজন করছে। এই নির্বাচনকে যারা যানচাল করতে চায়, নির্বাচনী পরিবেশ যারা নষ্ট করতে চায়, তাদের বিরুদ্ধে আমাদের প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।
আওয়ামী লীগ নেতাদের উদ্দেশ্যে জি কে গউছ বলেন, আপনারা যদি উন্নয়ন করে থাকেন, মানুষের জন্য ভাল কাজ করে থাকেন, তাহলে পালালেন কেন? আপনারাতো আমাদের বিরুদ্ধে শত শত মিথ্যা মামলা দিয়েছেন, আমরা আইনীভাবে মোকাবেলা করেছি, কারাগারে গিয়েছি। কিন্তু আপনারা আইনীভাবে মোকাবেলা না করে বাড়িঘর ছেড়ে অন্য দেশে পালিয়ে গেলেন কেন? সেই হিম্মত আপনাদের নাই, কারণ আপনাদের হাত মানুষের রক্তে রঞ্জিত। আপনারা জনগণের টাকা চুরি করে বিদেশে পাচার করেছেন, মানুষের ভোট চুরি করেছেন, জনগণের জন্য আপনারা কিছু করেননি। আপনাদের বিচার বাংলাদেশের মাটিতে হবে।
তিনি বলেন, কোনো সভ্য গণতান্ত্রিক দেশে নিজের মত প্রকাশের জন্য রক্ত দিতে হয় না, জেলে যেতে হয় না, নিজের ভোটের অধিকার আদায়ের জন্য কারাগারে যেতে হয় না। কিন্তু আওয়ামী লীগ মানুষের মত প্রকাশের অধিকার কেড়ে নিয়েছিল, ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়েছিল। বাংলাদেশের মানুষ নিজের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য রক্ত দিয়েছে, শহীদ হয়েছে।
পৌর বিএনপির সহ-সভাপতি ফখরুল ইসলাম বাবুলের সভাপতিত্বে এবং ৪নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি শাহিদ মিয়া, সাধারণ সম্পাদক বাদল মিয়া ও ছাত্রদল নেতা এমদাদুল হক চৌধুরী লিটনের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট মুরুব্বি খুর্শেদ মিয়া, হাজী শফিকুল ইসলাম, শিক্ষক জিতেন্দ্র, হাজী টেনু মিয়া, ছালেক মিয়া, হাবিবুর রহমান হাবিব, আনজব মোল্লা, মর্তুজ মিয়া, জালাল মিয়া, জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট হাজী নুরুল ইসলাম, হাজী এনামুল হক, পৌর বিএনপির সভাপতি তাজুল ইসলাম চৌধুরী ফরিদ, সাধারণ সম্পাদক এস এম আউয়াল, জেলা শ্রমিকদলের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট এস এম বজলুর রহমান, জেলা কৃষকলের আহ্বায়ক মফিজুর রহমান বাচ্চু, জেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক রুবেল আহমেদ চৌধুরী প্রমূখ।