হবিগঞ্জ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় এবং সেন্টার ফর অ্যাটমোস্ফেরিক পলিউশন স্টাডিজ প্রতিষ্ঠানসমূহের মধ্যে যৌথ গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনার জন্য জুম মিটিং এর মাধ্যমে সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। রবিবার (৭ সেপ্টেম্বর) হবিগঞ্জ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সৈয়দ সায়েম উদ্দিন আহম্মদ এর উপস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে ডেপুটি রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) মোঃ বদরুল আমিন এবং সেন্টার ফর অ্যাটমোস্ফেরিক পলিউশন স্টাডিজ এর পক্ষে প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান, অধ্যাপক ড. আহমেদ কামরুজ্জামান মজুমদার এই সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর করেন। চুক্তি স্বাক্ষরের সময় জুম মিটিংয়ে উপস্থিত ছিলেন রাশেদুজ্জামান মজুমদার, ডাইরেক্টর (লিগ্যাল), স্ট্যামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়। আরও উপস্থিত ছিলেন হবিগঞ্জ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক মোঃ শাকির আহম্মেদ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীবৃন্দ।
সেন্টার ফর অ্যাটমোস্ফেরিক পলিউশন স্টাডিজ একটি সরকারি নিবন্ধিত স্বতন্ত্র গবেষণা প্রতিষ্ঠান। ২০১৭ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে সেন্টার ফর অ্যাটমোস্ফেরিক পলিউশন স্টাডিজ বাংলাদেশে বায়ু, শব্দ, পানি, বর্জ্য দূষণ, জলবায়ু পরিবর্তন ও মানবস্বাস্থ্য সংক্রান্ত বিভিন্ন পরিবেশগত বিষয়ে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। এটি দেশের অন্যতম বিশেষায়িত গবেষণা প্রতিষ্ঠান, যা বায়ুর মান পর্যবেক্ষণ ও বায়ুমণ্ডলীয় দূষণ গবেষণায় নিবেদিত। সেন্টার ফর অ্যাটমোস্ফেরিক পলিউশন স্টাডিজ এর লক্ষ্য একটি পরিচ্ছন্ন, স্বাস্থ্যকর ও টেকসই পরিবেশ গড়ে তোলা। এজন্য সেন্টার ফর অ্যাটমোস্ফেরিক পলিউশন স্টাডিজ বিজ্ঞান, নীতি ও সমাজের মধ্যে একটি সেতুবন্ধন হিসেবে কাজ করে এবং সরকারি সংস্থা, বেসরকারি সংস্থা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সমন্বিতভাবে কাজ করে। এই সমঝোতার মূল উদ্দেশ্য হলো বায়ু, পানি, শব্দ দূষণ, পরিবেশগত টেকসই উন্নয়ন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ে গবেষণা, থিসিস, প্রজেক্ট ও ইন্টার্নশিপ পরিচালনা করা, সেন্টার ফর অ্যাটমোস্ফেরিক পলিউশন স্টাডিজ এর সহায়তায় ও তত্ত্বাবধানে হবিগঞ্জ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লিন এয়ার ক্লাব প্রতিষ্ঠা, গবেষণা ও একাডেমিক উদ্দেশ্যে হবিগঞ্জ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বায়ুদূষণ পর্যবেক্ষণ যন্ত্র স্থাপন, হাওর অঞ্চল, শিল্পাঞ্চল, পরিবেশ ও ঝুঁকিপূর্ণ সম্প্রদায়ে যৌথ গবেষণা ও প্রচারণা কার্যক্রম গড়ে তোলা, প্রাকৃতিক ও সম্প্রদায়ভিত্তিক সমাধান প্রচার, যৌথ প্রকল্পের জন্য প্রযুক্তিগত দক্ষতা, সম্পদ ও অর্থায়ন সংগ্রহ। এই সমঝোতার আওতায় শিক্ষার্থী ও গবেষকদের জন্য যৌথ কর্মশালা, সেমিনার, প্রশিক্ষণ ও গবেষণা প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে। এই মেমোরেন্ডাম অফ আন্ডারস্ট্যান্ডিং স্বাক্ষরের তারিখ থেকে ৫ বছর পর্যন্ত কার্যকর থাকে ও উভয় পক্ষ লিখিত সম্মতিতে নবায়ন করতে পারে এবং ৩ মাসের নোটিশে যে কোনো পক্ষ সমাপ্ত করতে পারে। বিজ্ঞপ্তি