স্টাফ রিপোর্টার || হবিগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শাহরিয়ার ইমন এখন জুলাই যোদ্ধা। তার নাম জুলাই যোদ্ধা হিসেবে গেজেটভুক্ত হয়েছে। জুলাই যোদ্ধা হিসেবে তিনি ভোগ করছেন বর্তমান সরকারের সকল সুযোগ-সুবিধা।
২০২২ সালের ২৮ এপ্রিল কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদ বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি আল-নাহিয়ান জয় ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য্য স্বাক্ষরিত প্যাডে হবিগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের কমিটি অনুমোদন দেয়া হয়। উক্ত কমিটিতে ৬ জন সাংগঠনিক সম্পাদকের মধ্যে শাহরিয়ার ইমনকেও পদায়ন করা হয়। তিনি কাকাইলছেও ৩নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ও ইউনিয়ন বিএনপির সহ-সভাপতি মহিবুর রহমানের ছেলে। ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট হবিগঞ্জ শহরতলিতে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের সাথে বৈষম্যবিরোধীদের সংঘর্ষ বাঁধে। উক্ত সংঘর্ষে বৈষম্যবিরোধী সমর্থকদের ছোঁড়া ইটপাটকেলে ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শাহরিয়ার ইমনের চোখে আঘাত লাগে। এরপরই শাহরিয়ার ইমন নাম পরিবর্তন করে ইমন মিয়া নামে রাতারাতি জুলাই যোদ্ধা হিসেবে নিজের স্থান করে নেন। জুলাই যোদ্ধা হিসেবে তার নাম তালিকাভুক্ত হয়। পরবর্তীতে গেজেটভুক্ত হয়। জুলাই যুদ্ধে আহত দেখিয়ে সরকারি খরচে প্রতিবেশী দেশ ভারতে গিয়ে চোখের চিকিৎসা করিয়ে আসেন তিনি। জুলাইযোদ্ধা হিসেবে সরকার প্রদত্ত এককালীন বিশেষ অনুদান পেয়েছেন বলেও একটি সূত্র জানিয়েছে। তাছাড়া অন্যান্য যোদ্ধাদের মতো তিনিও প্রতিমাসে ১৫ হাজার টাকা সম্মানী ভাতা ভোগ করছেন। অভিযোগ রয়েছে, রাহেলা গ্রামের জনৈক ছাত্রলীগ নেতার সাথে পরিচয়ের সুবাদে তার প্রচেষ্টায় তিনি জুলাই যোদ্ধা হয়েছেন। এতে এলাকাবাসীর মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।