
স্টাফ রিপোর্টার ॥ আইনের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে বাহুবলের শ্রীশ্রী শচীঅঙ্গন ধাম মন্দিরের নির্মাণ কাজ চলছে। বাহুবল উপজেলার জয়পুর গ্রামে অবস্থিত আন্তর্জাতিক সার্বজনীন শ্রীশ্রী শচীঅঙ্গন ধাম মন্দিরের নির্মাণ কাজের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন হাইকোর্ট। চলতি বছরের ২৭ জুলাই হাইকোর্টের বিচারপতি এসএম কদ্দুস জামান এর একক বেঞ্চ এ নিষেধাজ্ঞা জারি করেন। কিন্তু হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মন্দির কমিটির সাধারণ সম্পাদক পরিতোষ বণিক নির্মাণ কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। গত বুধবার (২৭ আগস্ট) দুপুরে নির্মাণ কাজ তদারকি করতে পরিতোষ বণিককে মন্দির প্রাঙ্গণে দেখা গেছে। এতে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের মাঝে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে।
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা যায়, হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের পক্ষে পশ্চিম রূপশঙ্কর গ্রামের মৃত ক্ষিতিশ চন্দ্র দাসের ছেলে নিরোধ চন্দ্র দাস হবিগঞ্জ সহকারী জজ বাহুবল আদালতে এলাকাবাসীর পক্ষে ২০২৩ সালে স্বত্ব মোকদ্দমা নং- ১৮২ দায়ের করেন। এ প্রেক্ষিতে ২০২৪ সালের ৮ অক্টোবর মন্দির কমিটির সভাপতি নিখিল রঞ্জন ভট্টাচার্য্য ও সাধারণ সম্পাদক পরিতোষ বণিকের বিরুদ্ধে অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার মাধ্যমে বারিত করা হয়। উক্ত আদেশের বিরুদ্ধে বিবাদী পক্ষ জেলা ও দায়রা জজ আদালতে বিবিধ আপিল মোকদ্দমা নং- ৪৪/২০২৪ইং দায়ের করেন। আদালত গত ৭ জুলাই বিবাদী পক্ষে আপিল মঞ্জুর করেন। পরবর্তীতে বাদী পক্ষ জেলা ও দায়রা জজ আদালতের আদেশের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে সিভিল রিভিশন নং- ২৮৭৭/২০২৫ইং মামলা দায়ের করলে বিচারপতি এসএম কদ্দুস জামান এর বেঞ্চ গত ২৭ জুলাই জেলা ও দায়রা জজ আদালতের ৭ জুলাই তারিখের আদেশ স্থগিত করেন। পাশাপাশি ২০২৪ সালের ৮ অক্টোবর নিম্ন আদালতের দেয়া আদেশ বহাল রাখেন। কিন্তু বিবাদী পক্ষ হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মন্দিরের নির্মাণ কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। তাছাড়া অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট হবিগঞ্জ আদালতের দরখাস্ত মোকদ্দমা নং- ৭৬৩/২০২৪ইং এর ৭/৮ ২০২৫ইং তারিখের আদেশের প্রেক্ষিতে গত ২৩ আগস্ট বাহুবল মডেল থানা পুলিশ অপর একটি নোটিশ জারি করে। কিন্তু কোন কিছুই আমলে নিচ্ছেন না তিনি। পরিতোষ বণিক তার ব্যক্তিগত সার্থে সার্বজনীন শ্রীশ্রী শচীঅঙ্গন ধাম মন্দিরকে ব্যক্তিগত মন্দিরে পরিণত করার জন্য উঠেপড়ে লেগেছেন। এ নিয়ে এলাকার সাধারণ হিন্দু ধর্মালম্বীদের মাঝে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। যে কোন সময় এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে খুন খারাবিসহ শান্তিভঙ্গের আশঙ্কা রয়েছে। সুষ্ঠু তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন সহ উর্ধতন কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন সচেতন মহল।