অতিথি সাংবাদিকের কলাম…
রাজু সরকার
ঝুঁকিপূর্ণ কাঠের উপর ভর করে কমিউনিটি ক্লিনিক থেকে স্বাস্থ্য সেবা নিচ্ছেন বাহুবল উপজেলার স্নানঘাট ইউনিয়নের প্রায় ৩০ হাজার মানুষ। কমিউনিটি ক্লিনিকে যাতায়াতের জন্য নেই কোনো রাস্তা। পারাপারের জন্য কাঠের সাঁকোই একমাত্র ভরসা। কিন্তু কাঠের সাঁকোটি ঝুঁকিপূর্ণ। ফলে কয়েকদিন পরপরই দুর্ঘটনা ঘটে আসছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

জানা যায়, বিগত প্রায় ৫ বছর পূর্বে (২০২০ সালে) স্নানঘাটে কমিউনিটি ক্লিনিক নির্মাণ করা হয়। ক্লিনিকটি স্নানঘাট বাজারের পাশে একটি খালের পাশে অবস্থিত।
সরেজমিনে দেখা যায়, ঝুঁকিপূর্ণ কাঠের উপর ভর করে ক্লিনিকে যাতায়াত করছেন স্বাস্থ্যসেবা প্রত্যাশীরা। ক্লিনিক নির্মাণের ৫ বছর অতিবাহিত হলেও ক্লিনিকের সংযোগ ব্রীজ এখনো নির্মাণ হয়নি। এ নিয়ে স্থানীয় সাধারণ মানুষের মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে।

স্বাস্থ্য সেবা নিতে আসা এক নারী বলেন, ক্লিনিকে ঔষধপাতি নেওয়ার জন্য প্রায় সময়ই আসি। কিন্তু ঝুঁকিপূর্ণ কাঠের সাঁকো দিয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে। যা খুবই ভয় লাগে।
খন্দকার পারভেজ নামে স্থানীয় এক ব্যক্তি জানান, ক্লিনিক নির্মাণের ৫ বছর অতিবাহিত হয়ে গেছে। কিন্তু এখনো ব্রিজ নির্মাণ হয়নি। ঝুঁকিপূর্ণ কাঠের সাঁকো দিয়ে যাতায়াত করতে রোগীদের অনেক কষ্ট হয়। এমনকি একাধিকবার খালে পড়ে অনেকেই আহত হয়েছেন। তিনি দ্রুত ব্রিজ নির্মাণের দাবী জানিয়েছেন।

ক্লিনিকের সিএইচসিপি অফিসার বিজন সূত্রধর জানান, এই ক্লিনিকের রোগীর সংখ্যা বেশি। ঝুঁকিপূর্ণ সাঁকো পাড় হয়ে রোগীর ক্লিনিকে আসতে হচ্ছে। বিশেষ করে গর্ভবতী মহিলার যাতায়াত করতে অনেক কষ্ট হয়। এ ছাড়া প্রায় সময়ই দুর্ঘটনায় শিকার হচ্ছেন রোগীরা। তিনি আরো জানান- দুই বার এ ক্লিনিকের ব্রিজ নির্মাণের জন্য টেন্ডার হয়েছে। প্রথমবার কেন হয়নি আমার জানা নেই। তবে দ্বিতীয়বার আমিসহ কর্তৃপক্ষের সকল সদস্যরা পিআইও এর সাথে দেখা করে আলাপ করলে তিনি জানান- ড্রয়িং ভুল হয়েছে। যার কারণে ব্রিজটি হচ্ছে না।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান তোফাজ্জল হক রাহিন জানান- এই ক্লিনিকের একটি ব্রিজ অনুমোদন আছে। পর্যাপ্ত পরিমাণের চেয়ে ড্রয়িং বড় হওয়ায় (ড্রয়িং ভুল) এ ড্রয়িংয়ে ব্রিজ করলে ক্লিনিক ভাঙ্গা পড়ে যায়। আবার ড্রয়িংয়ের ভুল সংশোধনে গেলে বরাদ্দ বাতিলও হতে পারে। যার কারণে কাজটা আটকে পড়েছে। তিনি আরও জানান- ইউনিয়ন পরিষদের বরাদ্দ থেকে ছোটখাটো ভাবে একটি কালভার্ট করার পরিকল্পনা রয়েছে। আপাতত কোনো বরাদ্দ নেই। বরাদ্দ এলে নির্মাণ করা হবে।