উত্তম কুমার পাল হিমেল, নবীগঞ্জ থেকে ॥ নবীগঞ্জে সংঘর্ষে আহত রিমন মিয়া (৩০) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। তিনি আনমনু গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল আওয়ালের পুত্র। গতকাল রাত সাড়ে ৮টায় সিলেট এমএজি ওসমানি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। রিমন মিয়া মানসিক প্রতিবন্ধী ছিলেন বলে জানা গেছে।
নবীগঞ্জ শহরে সম্প্রতি দফায় দফায় একাধিক সংঘর্ষের জের ধরে ব্যবসা-প্রতিষ্ঠান, বেসরকারী হাসপাতাল ও যানবাহন ভাঙচুর, লুটপাট, ট্রাক, বাস, সিএনজি ভাংচুর ও দোকানপাটে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। ভাঙচুর ও লুটপাটে কয়েক কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এ নিয়ে পক্ষদ্বয়ের মাঝে ক্ষোভ ও উত্তেজনা বিরাজ করছিল। এ প্রেক্ষিতে নবীগঞ্জ শহরে ১৪৪ ধারা জারি করে উপজেলা প্রশাসন।
গত ৭ জুলাই সকালে আনমনু ও তিমিরপুর গ্রামের লোকজন পূর্ব ঘোষণা দিয়ে নিজ নিজ এলাকায় মিটিং করেন। ওই দিন বিকেল ৩ টায় পূর্ব ঘোষণা দিয়ে উভয় গ্রামের শত শত মানুষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সোমবার দুপুরে ফের সংঘর্ষে পৌরসভার তিমিরপুর গ্রামের অ্যাম্বুলেন্স চালক মোঃ ফারুক মিয়া নিহত হন। ওই সময় অধিক রক্তক্ষরণ হয়ে গুরুতর আহত হন পৌরসভার আনমনু গ্রামের আওয়াল মিয়ার পুত্র রিমন মিয়া। সাথে সাথে তাকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। সেখানে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় ৬ দিন মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে অবশেষে ১২ জুলাই (শনিবার) সন্ধ্যায় মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন রিমন মিয়া।
নবীগঞ্জ থানার ওসি মোঃ কামরুজ্জামান চিকিৎসাধীন অবস্থায় রিমন মিয়ার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।