
মামলায় অজ্ঞাতনামা আসামী করা হয়েছে ২০০ জনকে ॥ আসামীর তালিকায় রয়েছেন সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান, সাবেক পৌর চেয়ারম্যান, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি, বর্তমান সাধারণ সম্পাদক
স্টাফ রিপোর্টার ॥ ২০২৩ সালের ১০ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক মানবধিকার দিবস উপলক্ষে সারাদেশে গুম, খুন, গায়েবী মামলায় গ্রেফতার ও দেশব্যাপী মানবাধিকার লঙ্ঘনের প্রতিবাদে হবিগঞ্জ শহরের শায়েস্তানগরে জেলা বিএনপির ব্যানারে মানববন্ধন কর্মসূচী পালিত হয়। ওই মানববন্ধন কর্মসূচীতে হামলার ঘটনা ঘটে। হামলায় গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হন হবিগঞ্জ শহরের নাতিরাবাদ এলাকার মৃত মরম আলীর ছেলে মেরাজ আহমেদ। ওই ঘটনায় গতকাল বুধবার তিনি বাদী হয়ে হবিগঞ্জ সদর থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলায় তিনি ৭৮ জনের নাম উল্লেখ করে আরও ২০০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামী করেন।
মেরাজ আহমেদ মামলার এজাহারে উল্লেখ করেন, ২০২৩ সালের ১০ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক মানবধিকার দিবস ছিল। ওইদিন সারাদেশে গুম, খুন, গায়েবী মামলায় গ্রেফতার ও দেশব্যাপী মানবাধিকার লঙ্ঘনের প্রতিবাদে সারাদেশের ন্যায় হবিগঞ্জে জেলা বিএনপি শায়েস্তানগর এলাকায় এক বিশাল মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করে। উক্ত শান্তিপূর্ণ মানববন্ধন কর্মসূচীতে আমি এবং জখমী সাক্ষীগণ সহ জেলা বিএনপি, জেলা যুবদল, জেলা ছাত্রদল সহ বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের প্রায় ২ হাজার নেতাকর্মী অংশগ্রহন করে। উক্ত শান্তিপূর্ণ মানববন্ধন কর্মসূচীতে পুলিশের সহায়তায় আওয়ামী লীগ সন্ত্রাসী বাহিনীর ক্যাডারগণ দেশীয় তৈরী আগ্নেয়াস্ত্র, পাইপগানসহ অস্ত্রশন্ত্রে সজ্জিত হয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে আসামী আবু জাহির ও আসামী আবুল মনসুর চৌধুরীর নেতৃত্বে আমাদের শান্তিপূর্ণ মানববন্ধন কর্মসূচীতে হামলা চালায়। ওই সময় আসামী আতাউর রহমান সেলিম, আবুল মনসুর চৌধুরী, রাজীব আহমেদ সফিক, মোঃ তোয়াব উল্লা মেম্বার এর ছোড়া গুলিতে আমার বাম চোখে, মুখে, বুকে গলায় মারাত্মক ছিদ্রযুক্ত জখম হয়। আসামী আতাউর রহমান সেলিম এর হাতে থাকা দেশীয় পাইপগান এর গুলিতে আমার বাম চোখে মারাত্মক হাড়ভাঙ্গা (গ্রিভিয়াস) জখম হয়। আসামী আবু সাইদ এর ছোড়া গুলি আমার ডান চোখের পাশে পড়ে মারাত্মক হাড়ভাঙ্গা (গ্রিভিয়াস) জখম হয়। আসামী রাজিব আহমেদ সফিক এর হাতে থাকা দেশীয় পাইপগান দিয়ে খুন করার উদ্দেশ্যে গুলি ছুড়িয়া আমার গলায় মারাত্মক রক্তাক্ত (গ্রিভিয়াস) জখম হয়। আসামী মোঃ তোয়াব উল্লা মেম্বার এর ছোড়া গুলিতে আমার বুকে রক্তাক্ত জখম হয়। আসামী তকবির হোসেন এর ছোড়া গুলিতে আমার পাশে থাকা জখমী সাক্ষী তাউস মিয়ার পেটে পড়ে মারাত্মক রক্তাক্ত (গ্রিভিয়াস) জখম হয়। আসামী মিলিটন তার হাতে থাকা দেশীয় পাইপগান দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে গুলি করলে জখমী সাক্ষী তাউছ এর ডান হাতের বাহুতে ও কনুইয়ে রক্তাক্ত (গ্রিভিয়াস) জখম হয়। আসামী আমির আলীর হাতে থাকা দেশীয় পাইপগান দিয়ে খুন করার উদ্দেশ্যে গুলি ছোড়লে জখমী সাক্ষী তাউছ এর মাথায় মারাত্মক রক্তাক্ত (গ্রিভিয়াস) জখম হয়। আসামী আলমগীর তালুকদার তার হাতে থাকা দেশীয় পাইপগান দিয়ে খুন করার উদ্দেশ্যে গুলি ছুড়ে সাক্ষী তাউছ এর বাম পায়ের হাটুর নীচে মারাত্মক রক্তাক্ত (গ্রিভিয়াস) জখম করে। আসামী মোতাচ্ছিরুল ইসলাম তার হাতে থাকা দুই নালা বন্দুক দিয়ে খুন করার উদ্দেশ্যে গুলি ছুড়ে জখমী সাক্ষী মিজানুর রহমান এর পেটে মারাত্মক রক্তাক্ত (গ্রিভিয়াস) জখম করে। আসামী আবুল মনসুর চৌধুরী তার হাতে থাকা বন্দুক দিয়ে খুন করার উদ্দেশ্যে গুলি ছুড়ে জখমী সাক্ষী মিজানুর রহমান এর পেটের নিচের অংশে মারাত্মক রক্তাক্ত (গ্রিভিয়াস) জখম করে। আসামী আঃ খালেক তার হাতে থাকা দেশীয় পাইপগান দিয়ে খুন করার উদ্দশ্যে গুলি ছুড়ে সাক্ষী মিজানুর রহমানকে ডান হাতে মারাত্মক রক্তাক্ত (গ্রিভিয়াস) জখম করে।
ওই সময় এজাহার নামীয় আসামীসহ অজ্ঞাতনামা আসামীগণ ইট, পাটকেল ইত্যাদি অস্ত্রাদি এবং দেশীয় অস্ত্রাদি দিয়ে মারপিট করে তিনি সহ উল্লেখিত জখমী সহ আরও ৫০ জনের অধিক বিএনপি নেতাকর্মীকে সাধারণ ও গুরুতর আহত করে। তিনি সহ বিএনপির অন্যান্য নেতাকর্মীকে এক তরফা মারধর করে আসামীগণ দেশীয় অস্ত্র তাক করে চলে যায়। আওয়ামী লীগ সন্ত্রাসী তাদের নেতাকর্মীর উপর প্রায় আড়াই ঘন্টা ব্যাপক নির্যাতন চালায়। ঘটনার কিছুক্ষন পর পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এতে বাদী মেরাজ আহমেদসহ সাক্ষীগণ পুলিশ ও আওয়ামী লীগ সন্ত্রাসীদের ভয়ে সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে পারেননি। তার চোখের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তিনি জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইন্সটিটিউট ও হাসপাতাল ঢাকাতে গিয়ে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা করান। অন্যান্য জখমীগণ সরকারি হাসপাতালে না গিয়ে পুলিশের ভয়ে প্রাইভেট ক্লিনিক ও ফার্মেসীতে নিজেদের জখমের চিকিৎসা করান। তৎকালীন সময়ে থানায় মামলা দায়ের করার পরিস্থিতি না থাকায় সরকারের ক্ষমতা হস্তান্তর এর পর স্বাভাবিক অবস্থা ফিরিয়ে আসায় আসামীদের নাম ঠিকানা সংগ্রহ করে এবং জখমীদের চিকিৎসা শেষে জখমীগণের পরিবারের সাথে আলাপ আলোচনা করে তাদের সম্মতি নিয়ে কিঞ্চিত বিলম্বে তিনি অত্র এজাহার দায়ের করেন।
মামলায় যাদের আসামী করা হয়েছে তারা হলেন, হবিগঞ্জ শহরের টাউন হল রোড এলাকার মৃত আমির আলীর ছেলে সাবেক এমপি মো. আবু জাহির, শহরের দেয়ানত রাম সাহার বাড়ির হাজী মো. রহিছ আলীর ছেলে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মোতাচ্ছিরুল ইসলাম, শহরের কালীগাছতলা এলাকার মৃত মোক্তার মিয়ার ছেলে হবিগঞ্জ পৌরসভার সাবেক চেয়ারম্যান আতাউর রহমান সেলিম, শহরের মুসলিম কোয়ার্টার এলাকার মৃত শাহজাহান চৌধুরীর ছেলে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলমগীর চৌধুরী, শহরের কালীবাড়ি ক্রসরোড এলাকার শঙ্খ শুভ্র রায়, শায়েস্তাগঞ্জের দক্ষিণ বড়চর তালুগড়াইর মৃত চান্দু মিয়ার ছেলে শায়েস্তাগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র মো. ছালেক মিয়া, হবিগঞ্জ শহরের পিটিআই রোডের জাবেদ আলী, শহরের চিলড্রেন পার্ক মুসলিম কোয়ার্টার এলাকার মৃত টুলু শেখর পুরকায়স্থ’র ছেলে নিলাদ্রী শেখর পুরকায়স্থ টিটু, রিচির নূরে মিয়ার ছেলে মো. ওয়াসিম মিয়া, শহরের চৌধুরী বাজারের মৃত আব্দুর রহিমের ছেলে জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রবিন মিয়া, নাতিরাবাদ আবাসিক এলাকার মৃত খয়ের উদ্দিনের ছেলে বুলবুল আহমেদ চৌধুরী, শায়েস্তাগঞ্জের চানপুর গ্রামের নসিব আলীর ছেলে আব্দুল মালেক, পইল ইউনিয়নের আউশপাড়া ফরিকহাটির শাহ মঞ্জব উল্লার ছেলে জয়নাল আবেদীন রাসেল, হবিগঞ্জ শহরের অনন্তপুরের মোহাম্মদ আলীর ছেলে তানভির আহমেদ, নবীগঞ্জের সাতাইহাল ফুলতলী বাজারের আহিদ উল্লার ছেলে গজনাইপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ ৯নং ওয়ার্ড সভাপতি তোয়াব উল্লা মেম্বার, হবিগঞ্জ শহরের পুরান মুন্সেফী রোড বাণিজ্যিক এলাকার মৃত নূর মিয়ার ছেলে পৌর ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও পৌর আওয়ামী লীগ নেতা রাজিব আহমেদ সফিক, বানিয়াচঙ্গের আদমখানীর মো. আলী হোসেনের ছেলে তকবির হোসেন, রিচির জনাব আলীর ছেলে তাজুল মুহুরী, হবিগঞ্জ শহরের ইনাতাবাদ আবাসিক এলাকার মৃত কমর উদ্দিনের ছেলে মো. নূর উদ্দিন, রিচি ইউনিয়নের নোয়াগাঁও গ্রামের মৃত লিলু মিয়ার ছেলে ৮নং ওয়ার্ড যুবলীগ নেতা মিলিটন মিয়া, হবিগঞ্জ শহরের খাদ্যগুদাম রোডের মৃত মোস্তফা খানের ছেলে সোহেল খান, পইল আসামপাড়া গ্রামের মৃত সুন্দর আলীর ছেলে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান সাহেব আলী, শহরের বাণিজ্যিক এলাকার মৃত সাহাব উদ্দিন আহমেদের ছেলে পৌর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জিয়া উদ্দিন আহমেদ, শহরের চৌধুরী বাজার বড় জামে মসজিদ রোডের জনি রায়, চুনারুঘাট উপজেলার মিরাশী ইউনিয়নের হরিণমারা গ্রামের আনোয়ার আলীর ছেলে যুবলীগ নেতা আমির আলী, হবিগঞ্জ শহরের মাছুলিয়া এলাকার মৃত সুরুজ আলীর ছেলে ছন্দু মিয়া, শহরের ইনাতাবাদ এলাকার আব্দুল মালেকের ছেলে মো. হাফিজুর রহমান, চুনারুঘাটের গাজীপুর ইউনিয়নের মানিক ভান্ডার গ্রামের মৃত নবজাত উল্লার ছেলে আশ^ব উল্লা, হবিগঞ্জ শহরতলীর জঙ্গলবহুলা গ্রামের মিলু রায়ের ছেলে সুজিত রায়, একই গ্রামের আইয়ুব আলীর ছেলে আব্দুল মালেক, হবিগঞ্জ শহরের চৌধুরী বাজারের মো. লতিফ ড্রাইভারের ছেলে লাভলু মিয়া, নাতিরাবাদ এলাকার সফর আলীর ছেলে পৌর যুবলীগ নেতা আলমগীর মিয়া, একই এলাকার আলাউদ্দিন মিয়ার ছেলে যুবলীগ নেতা মো. সুজন মিয়া, বাণিজ্যিক এলাকার মৃত আব্দুল ওয়াদুদ তালুকদারের ছেলে ৫নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. শোভন তালুকদার, চৌধুরী বাজারের আলী আমজাদ চৌধুরীর ছেলে শুভ চৌধুরী, উমেদনগরের সঞ্জব আলীর ছেলে কাশেম মিয়া, হরিপুরের হাজী ফারুক মিয়ার ছেলে মো. জয়নাল মিয়া, চৌধুরী বাজারের সামাদ মিয়ার ছেলে নূরুল আমিন সুরুজ, পিটিআই রোডের আকবর আলীর ছেলে খলিলুর রহমান, মাহমুদাবাদ এলাকার হুমায়ুন কবির, মোহনপুরের সাবেক কাউন্সিলর আলমগীর, বদিউজ্জামান খান রোডের পৌর যুবলীগ নেতা বিশ^জিৎ আচার্য্য, শহরতলীর নারায়ণপুরের বাসিন্দা জেলা আওয়ামী লীগ নেতা অ্যাডভোকেট জ্যোতিষ গোপ, বড় বহুলা পশ্চিম হাটির নূর আলীর ছেলে শেখ আহাদ, শায়েস্তাগঞ্জের মৃত ইউনুছ মিয়ার ছেলে এমজিএম সেলিম, হবিগঞ্জ শহরের দানিয়ালপুরের রাজন কুড়ি, শহরতলীর বহুলার নিম্বর আলীর ছেলে আহমেদ আলী, হবিগঞ্জ শহরের মোহনপুরের ফুল মিয়ার ছেলে আলমগীর তালুকদার, অনন্তপুরের মৃত আদম আলীর ছেলে শান্ত মিয়া, আজমিরীগঞ্জের নবীনগর ৬নং ওয়ার্ডের মৃত আব্দুর রউফের ছেলে মো. সেলিম মিয়া, হবিগঞ্জ শহরের পুরাতন হাসপাতাল এলাকার তাজুল ইসলামের ছেলে ফরহাদ আহমেদ, গোসাইপুরের শাহ গোলাম মোহাম্মদের ছেলে শাহ গোলাম জিলানী, বানিয়াচং উপজেলার বড়ইউড়ি ইউনিয়নের গুনই (মদনমুরত) গ্রামের কনুজ দাশের ছেলে কল্লোল দাশ, একই এলাকার মৃত মহিব উল্লার ছেলে জমির আলী, হবিগঞ্জ শহরের পুরান মুন্সেফী রোড এলাকার মৃত আব্দুস সালাম চৌধুরীর ছেলে জেলা আওয়ামী লীগ নেতা ও জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি আবুল মনসুর চৌধুরী, উমেদনগর পূর্ব এলাকার কবির মিয়ার ছেলে সবুজ মিয়া, শহরের পুরান মুন্সেফী এলাকার মৃত আব্দুল আলীম চৌধুরীর ছেলে সফিকুল আলম চৌধুরী, কামড়াপুর এলাকার মো. সেলিম মিয়ার ছেলে মো. রাকিব আহমেদ, চুনারুঘাটের বাসুল্লার হুমায়ুন রশিদ ওরফে অরুনের ছেলে আবু সাঈদ, শহরতলীর রিচি গ্রামের মৃত মছদ্দর আলীর ছেলে জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি সাইদুর রহমান, শহরের মোহনপুর আবাসিক এলাকার আব্দুল মতিনের ছেলে জসিম উদ্দিন, শহরতলীর বড় বহুলার মৃত দিদার হোসেনের ছেলে এমদাদুর রহমান সোহেল, শহরের কোর্ট স্টেশন রোডের আবুল কাশেমের ছেলে মোস্তফা কামাল সংগ্রাম, শহরতলীর এড়ালিয়ার আকবর আলীর ছেলে জেলা আওয়ামী লীগ নেতা অ্যাডভোকেট শামছুল ইসলাম ওরফে সামছু, হবিগঞ্জ শহরের বাণিজ্যিক এলাকার সুধীর রায়ের ছেলে ৫নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সভাপতি শ্যামল কান্তি রায়, মাছুলিয়ার আব্দুল হেকিমের ছেলে নূরুজ্জামান, নবীগঞ্জের বাঘাউড়া গ্রামের মৃত মোজাম্মেল হোসেনের ছেলে আক্তার হোসেন ছোবা, চুনারুঘাটের উড়ালপুর গ্রামের মৃত মুজিবুল হকের ছেলে আবুল কালাম, একই গ্রামের আব্দুল মন্নান, হবিগঞ্জ শহরতলীর এড়ালিয়া গ্রামের মৃত মনছব আলীর ছেলে আব্দুল খালেক, হবিগঞ্জ শহরের আব্দুল মন্নানের ছেলে ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি তৌহিদুল ইসলাম সোহেল, সদর উপজেলার তেঘরিয়া ইউনিয়নের শিকারপুর গ্রামের মৃত হাজী রইছ উল্লার ছেলে আব্দুল মন্নান, সদর উপজেলার দীঘলবাগ গ্রামের মধু মিয়ার ছেলে যুবলীগ নেতা আব্দুল কাদির, হবিগঞ্জ শহরের শ্যামলী আবাসিক এলাকার বাদশা মিয়ার ছেলে ইদু মিয়া, শহরের কামড়াপুরের মৃত সফর আলীর ছেলে সেলিম মিয়া, শহরতলীর রিচি গ্রামের নায়েব আলীর ছেলে মো. কাউছার মিয়া, হবিগঞ্জ শহরের রাজনগরের হাজী সিরাজুল ইসলামের ছেলে মো. তৈয়বুর রহমান ও বানিয়াচং উপজেলার হিয়ালা গ্রামের ছুরত আলীর ছেলে চুনু মিয়া।