
স্টাফ রিপোর্টার ॥ হবিগঞ্জে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করার দাবিতে প্রতিবাদ সভা ও বিক্ষোভ মিছিলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্য সচিব মাহদী হাসানসহ ৪ জনের উপর হামলার ঘটনায় নুর মিয়া ওরপে নুরা নামে আরও এক আসামীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গতকাল শুক্রবার (১৬ মে) সন্ধ্যার দিকে সদর থানার ওসি একেএম শাহাবুদ্দিন শাহীনের নেতৃত্বে পুলিশের একটি টিম অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করে। সে শহরের সিনেমা হল এলাকার বাসিন্দা ও মামলার এজাহারভুক্ত ৮ নম্বর আসামি।
এর আগে সমন্বয়কারীদের উপর হামলার ঘটনায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন হবিগঞ্জের বহিস্কৃত সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক এনামুল হক সাকিবকে প্রধান আসামী করে ৯ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ১৫/২০ জনকে আসামী করে ১১ মে সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়।
মামলা সূত্রে জানা যায়, গত ৯ মে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করার দাবিতে প্রতিবাদ সভা ও বিক্ষোভ মিছিল শেষে ফেরার পথে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্য সচিব মাহদী হাসানসহ ৪ জনের উপর অতর্কিত হামলা চালায় হেলমেট পরিহিত দুর্বত্তরা। বিষয়টি দেখতে পেয়ে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে আসলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। পরে আহতদের উদ্ধার করে হবিগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আহত মাহদী হাসান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন হবিগঞ্জ জেলা শাখার সদস্য সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। অপর আহত তিনজন হলেন, মোঃ রকি, অন্তর মিয়া ও সাইদুল। এদিকে ঘটনার পর ওইদিনই রাত সাড়ে ৯টায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন হবিগঞ্জ জেলা শাখার আহ্বায়ক আরিফ তালুকদারের নেতৃত্বে শহরের টাউন হলের সামনে প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিবাদ সভায় বক্তাগণ বলেন, যদিও জয় বাংলা বলে তাদের উপরে হামলা করা হয়েছে, মূলত তারা আওয়ামী লীগ নয়। অন্য একটি কুচক্রী মহল সন্ত্রাসী গোষ্ঠী এই হামলা চালিয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে জরুরি ভিত্তিতে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবী জানানো হয়।
প্রসঙ্গত, সমন্বয়কদের উপর হামলার ঘটনায় দায়েরকৃত মামলার আসামী মোঃ নুর আলম চৌধুরী ও রেজাউল হাসান রাজুকে গত ১১ মে শহরের বাসস্ট্যান্ড থেকে বাস যোগে পালানোর সময় জনতা আটক করে। পরে তাদের হবিগঞ্জ সদর মডেল থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। বর্তমানে তারা কারাগারে আছেন।