বানিয়াচংয়ে নাইন মার্ডার
স্টাফ রিপোর্টার ॥ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র জনতার আন্দোলনে বানিয়াচংয়ে নাইন মার্ডারের ঘটনায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। এতে ১১৬নং এ অভিযুক্ত করা হয়েছে উপজেলার ৯নং পুকড়া ইউনিয়নের আওয়ামী লীগ নেতা নজরুল ইসলামকে। তিনি ওই ইউনিয়নের সিকন্দরপুর গ্রামের মৃত হাজী গোলাম হুসেনের পুত্র। এছাড়াও গত ১৩ জানুয়ারি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে করা অভিযোগে আরো প্রায় ৩ শতাধিক নেতাকর্মী ও লোকজনকে অভিযুক্ত করা হয়।
জানা যায়- পুকড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা নজরুল ইসলাম একজন প্রভাবশালী নেতা। গত ৫ আগস্ট বানিয়াচংয়ে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে তিনি তার বাহিনী নিয়ে পুলিশের সাথে মিলে সাধারণ ছাত্র-জনতার উপর হামলা চালান। ওই হামলায় শহীদ হন ৯ জন। প্রভাবশালী হওয়ায় এ ঘটনার পরও তিনি এলাকায় বীরদর্পে চলাফেরা করেন। তিনি প্রভাব বিস্তার করে জোরপূর্বক একই এলাকার ফাতেমা বেগম নামে এক নারীর জমি দখল করে নিতে চান জনৈক শাহ সিরাজুল আব্দালের মাধ্যমে। নজরুল ইসলাম ও তার লোকজন বিএনপি নেতা বদরুল আলমকে কুপিয়ে ক্ষত বিক্ষত করে তার কান কেটে নেয়। এ ঘটনায় বানিয়াচং থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়। যার নং- জিআর ১৫৪। ওই মামলায় তিনি বর্তমানে অস্থায়ী জামিনে রয়েছেন।
অভিযোগকারীর দাবি- জুলাই-আগস্টে সংঘটিত বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন প্রতিহত করতে আওয়ামী লীগ নেতা নজরুল ইসলামসহ উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা বানিয়াচং শহীদ মিনারে অবস্থান নিয়েছিলেন। ৫ আগস্ট বানিয়াচং এল.আর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ থেকে বৈষ্যম্যবিরোধী আন্দোলনের ছাত্র-জনতার মিছিল বের হয়ে স্থানীয় শহীদ মিনারে পথসভায় শেষ হয়। সেখান থেকে কয়েকশ’ লোক শান্তিপূর্ণ মিছিল নিয়ে থানার সামনে দিয়ে যেতে চাইলে থানার ভিতর থেকে উক্ত মিছিলে পুলিশ ও আওয়ামী লীগ নেতারা গুলিবর্ষণ করলে ৯ জনের মৃত্যু হয় এবং কয়েকশ’ লোক আহত হন।