ভালো সুযোগ পেলে হবিগঞ্জ টাউন ক্লাবের কোন কোন খেলোয়াড় এক সময়ের কালোমানিক খ্যাত পেলে কিংবা ম্যারাডোনা হয়ে উঠতেন
মঈন উদ্দিন আহমেদ ॥ শতবছরের হবিগঞ্জ শহর সম্পর্কে দৈনিক হবিগঞ্জের মুখ এর কাছে অনেক স্মৃতি তুলে ধরেছেন প্রবীণ ব্যক্তিত্ব ইঞ্জিনিয়ার ফণি ভূষণ দাস। মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে গঠিত জয়বাংলা ফুটবল টিমের সদস্য ছিলেন তিনি। প্রবীণ এই ব্যক্তিত্ব বলেন, ব্রিটিশ আমল হতে কলকাতা আইএফএ শীল্ড-এ নিয়মিত অংশ নিতো হবিগঞ্জ টাউন ক্লাব। ১৯৪১ সালে কলকাতার আইএফএ শীল্ড-এ হবিগঞ্জ টাউন ক্লাব ৭ বারের চ্যাম্পিয়ন কলকাতা মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের বিপক্ষে তৃতীয় রাউন্ডের খেলায় একমাত্র পেলান্টিতে পরাজয় বরণ করে। পরবর্তীতে ওই খেলায় হবিগঞ্জ টাউন ক্লাবকে কারচুপির মাধ্যমে পরিকল্পিতভাবে হারানোর অভিযোগ উঠে। টাউন ক্লাবের পক্ষে খেলায় অংশ নেন- গোস্ট পাল, আব্দুর রহিম, বাচ্চি খান, লেংচা মিত্র, অনিল দে, শনিল মান্না, পিকে ব্যানার্জী, চুনি গোস্বামী প্রমূখ। তারা যদি ভালো সুযোগ পেতেন তাহলে এক সময় কালোমানিক খ্যাত পেলে বা ম্যারাডোনা হয়ে উঠতেন বলে তৎকালীন খেলা বিশারদগণ মনে করেন। এছাড়াও জয়বাংলা ফুটবল টিমের সদস্য ছিলেন মতলিব মিয়া, গোপাল মজুমদার, শচীন্দ্র রায় চৌধুরী, মানিক ধর, সুশীল রায়, সুনীল দাস, সুকুমার বিশ^াস, টগর দেব, নিরঞ্জন ভট্টাচার্য্য, প্রবাস রায়, ছোট্ট মানিক, গণেষ রায়, বুচা রায়, চন্দন তরফদার, কবির খান, উপেন্ড দে, জ্যোতিষ রায়, আর ভট্টাচার্য্য, নূর মোহাম্মদ, আব্দুল ওয়াহেদ চৌধুরী, নিশিত দত্ত, অদ্যুৎ গোপ, মোহিনী রায়, আব্দুর রশিদ। এদের অনেকে চিরসবুজ দক্ষ স্ট্রাইকার ছিলেন। তারা মাঠ মাতিয়ে রাখতেন। আগরতলা রাজবাড়ির পাশের মাঠে খেলা হলে রিফিউজিসহ হাজার হাজার দর্শক খেলা উপভোগ করেন। জয়বাংলা ফুটবল টিমের প্রথম খেলা হয় ত্রিপুরার সাথে। পরে কলকাতা আলাদা টিম গঠন করে। স্বাধীনতার পর মোহামেডান ক্লাব, পইল ক্লাব, বৃন্দাবন কলেজ, বাজার ফুটবল ক্লাব, শেরেবাংলা ফুটবল ক্লাব হবিগঞ্জের ক্রীড়াঙ্গণে বিশেষ অবদান রাখে।