জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসের আলোচনা সভায় জি কে গউছ
স্টাফ রিপোর্টার ॥ বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ও টানা ৩ বারের নির্বাচিত হবিগঞ্জ পৌরসভার পদত্যাগকারী মেয়র আলহাজ জি কে গউছ বলেছেন- আওয়ামী লীগ এবং গণতন্ত্র এক সাথে যায় না। আওয়ামী লীগ যখনই সুযোগ পেয়েছে দেশের গণতন্ত্রকে গলাটিপে হত্যা করেছে। এই অপকর্মের দায়ে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যূত্থানে শেখ হাসিনা এক কাপড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছেন। তিনি বৃহস্পতিবার রাতে হবিগঞ্জ জেলা বিএনপির উদ্যোগে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসের আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন।
সভায় জি কে গউছ আরও বলেন- বাংলাদেশ যখনই বিপদের মুখোমুখি হয়েছে তখনই শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বুক পেতে দিয়েছেন, কিছু ফেরত পাওয়ার আশায় নয়। ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন, যুদ্ধ করেছেন, দেশ স্বাধীন করেছেন। স্বাধীনতা এনে দিয়ে তিনি আবার ব্যারাকে ফিরে গেছেন। একজন নিঃস্বার্থ রাজনীতিবিদের উদাহরণ হচ্ছেন জিয়াউর রহমান। অথচ যারা স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহন করেনি, যারা ভারতে পালিয়ে গিয়েছিল, পাকিস্তানের কারাগারে মেহমানদারী করেছে, তারা ফিরে এসে এই স্বাধীন দেশটাকে বিরান ভূমিতে পরিণত করেছে। দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হয়েছে, গণতন্ত্রকে হত্যা করা হয়েছে। দেশের সার্বভৌমত্বকে হুমকির মুখে ফেলে দেয়া হয়েছিল। এই পরিস্থিতিতে ৭ নভেম্বর সিপাহী জনতার বিপ্লবের মাধ্যমেই বাকশালী শক্তির সকল ষড়যন্ত্র ও চক্রান্ত নস্যাৎ করে দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা করা হয়েছিল। এই দিন তৎকালীন সেনা প্রধান শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান দেশকে এক অচলাবস্থা থেকে রক্ষা করেছিলেন বলেই আজ বাংলাদেশ বিশ্বের বুকে একটি গণতান্ত্রিক দেশ হিসেবে মাথা উচুঁ করে দাড়িয়েছে। শুরু হয়েছিল বহুদলীয় রাজনীতির ধারা। তিনি দেশকে তলাবিহীন ঝুড়ি থেকে উন্নয়ন ও উৎপাদনে শীর্ষে পৌঁছে দিয়েছিলেন। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বাংলাদেশকে একটি স্বনির্ভর রাষ্ট্রে পরিণত করেছিলেন।
জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মিজানুর রহমান চৌধুরীর সভাপতিত্বে এবং যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট হাজী নুরুল ইসলাম, ইসলাম তরফদার তনু ও হাজী এনামুল হকের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি সফিকুর রহমান চৌধুরী ফারছু, সাবেক সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট শামছু মিয়া চৌধুরী, অ্যাডভোকেট মঞ্জুর উদ্দিন আহমেদ শাহীন, গোলাম মস্তুফা রফিক, এমজি মোহিত, পিপি অ্যাডভোকেট আব্দুল হাই, পৌর বিএনপির সভাপতি তাজুল ইসলাম চৌধুরী ফরিদ, গিরেন্দ্র চন্দ্র রায়, জেলা শ্রমিকদলের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট এস এম বজলুর রহমান, জেলা মৎস্যজীবী দলের সভাপতি অ্যাডভোকেট মুদ্দত আহমেদ, অ্যাডভোকেট আফজাল হোসেন, হাবিবুর রহমান, এস এম আউয়াল, জেলা জাসাস আহ্বায়ক মিজানুর রহমান চৌধুরী, দেওয়ান মুহাইমিন চৌধুরী ফুয়াদ, জেলা যুবদলের আহ্বায়ক জালাল আহমেদ, সদস্য সচিব সফিকুর রহমান সিতু, জেলা কৃষকদলের সদস্য সচিব মফিজুর রহমান বাচ্চু প্রমূখ।