স্টাফ রিপোর্টার, মাধবপুর থেকে ॥ হবিগঞ্জের মাধবপুরে গৃহবধূ সুমাইয়ার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধারের ঘটনায় থানায় আত্মহত্যার প্ররোচনায় স্বামী ও শাশুরির নামে মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলায় সুমাইয়ার পিতা মোঃ ওমর দাবি করেন, তার মেয়েকে যৌতুকের জন্য পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করে মরদেহ ঘরের আড়ায় ঝুঁলিয়ে রাখা হয়েছে। তাই এটি পরিকল্পিত হত্যা নাকি আত্মহত্যা এ নিয়ে জনমনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
মাধবপুর উপজেলার কালীকৃষ্ণ নগর গ্রামে ২২ অক্টোবর রাতে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ ওই গ্রামের ইমাম হোসেনের স্ত্রী সুমাইয়ার (২০) ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হবিগঞ্জ সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে। ২২ অক্টোবর সুমাইয়ার পিতা মোঃ ওমর এ ঘটনায় জামাতা ইমাম হোসেন ও তার মা উমেদা খাতুনকে আসামী করে থানায় আত্মহত্যায় প্ররোচনার মামলা দায়ের করেন।
প্রায় ১ বছর আগে চট্টগ্রামের বায়েজিদ থানার বর্তমানে মাধবপুর উপজেলার চৌমহনী ইউনিয়নের পশ্চিম রাজনগর গ্রামের মোঃ ওমর এর মেয়ে সুমাইয়ার সাথে ইমাম হোসেনের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে যৌতুকের জন্য স্বামী তাকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে আসছে। মেয়ের সুখের জন্য দরিদ্র ওমর সাধ্যমতো টাকা পয়সা দিয়েছেন। ঘটনার দিন সুমাইয়া তার বাবার বাড়িতে ফোন করে নির্যাতনের কথা জানিয়ে বাড়ি নিয়ে যেতে আকুতি জানায়। রাতেই খবর পান তার মেয়ের মরদেহ ঘরের আড়ায় ঝুলছে। ওমরের দাবি তার মেয়েকে পরিকল্পিত ভারে হত্যা করে স্বামী শাশুরি প্রচার করে সে আত্মহত্যা করেছে। ঘটনার পর থেকেই স্বামী শাশুরি গা ডাকা দিয়েছে।
মাধবপুর থানার ওসি আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, মোঃ ওমরের দেয়া অভিযোগে যা লেখা যে অনুযায়ী মামলা রেকর্ড হয়েছে। এখনো ময়নাতদন্ত রিপোর্ট আসেনি। রিপোট পেলে বলা যাবে এটি হত্যা নাকি আত্মহত্যা।