স্টাফ রিপোর্টার ॥ ম-পে ম-পে চ-ীপাঠ, ঢাকের বাদ্য, শঙ্খ ও উলুধ্বনির মাধ্যমে গতকাল বুধবার মহাষষ্ঠীতে মহিষাসুরমর্দিনী দেবী দুর্গাকে বরণ করে নিয়েছেন ভক্তরা। ষষ্ঠীপূজার মধ্য দিয়ে এ দিন সূচনা ঘটেছে বাঙালি হিন্দুদের সবচেয়ে বড় এ ধর্মীয় উৎসবের।
গতকাল ষষ্ঠী তিথিতে হয় দেবীর কল্পারম্ভ ও ষষ্ঠীবিহিত পূজা। এ সময় ভক্তরা দেবী দুর্গার চরণে পুষ্পার্ঘ্য দিয়ে প্রার্থনা করেছেন দেশ তথা বিশ্বে অশুভ শক্তির বিনাশ আর শুভ শক্তি প্রতিষ্ঠার। এর পর সায়ংকালে দেবীর বোধন, আমন্ত্রণ ও অধিবাসের মধ্য দিয়ে শুরু হয় মূল পূজা। পূজাকে ঘিরে এরই মধ্যে কঠোর নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। সাদা পোশাকে গোয়েন্দা সদস্যদের রয়েছে সতর্ক পাহারা।
আজ মহাসপ্তমী। এদিন সকালে দেবী দুর্গার চক্ষুদান, নবপত্রিকা প্রবেশ, স্থাপন, সপ্তাদি কল্পারম্ভ ও সপ্তমীবিহিত পূজা হবে। এভাবে উৎসব চলবে বিজয়া দশমীতে প্রতিমা বিসর্জন পর্যন্ত। সনাতনী শাস্ত্র অনুযায়ী, মহাসপ্তমীতে ষোড়শ উপাচারে দেবী দুর্গাকে পূজিত করা হবে। এ ছাড়া চক্ষুদানের পর ভক্তরা আসন, বস্ত্র, নৈবেদ্য, স্নানীয়, পুষ্পমাল্য, চন্দন, ধূপ ও দীপ দিয়ে দেবীকে পূজা করবেন।
হবিগঞ্জে এবারের পূজা ম-পে দেখা দিয়েছে ভিন্নতা। দেয়ালে দেয়ালে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে বন্যাদুর্গতদের চিত্র। বুধবার (৯ অক্টোবর) সকাল থেকে প্রতিটি ম-পে দেখা দিয়েছে সাঁজ সাঁজ রব। দুর্গোৎসবকে ঘিরে তৎপর রয়েছে জেলার আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এ বছর জেলায় পূজার সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কাজ করছে সাড়ে ৬শ পুলিশ ও ৪ হাজার ৯৮ জন আনসার ভিডিপি। পাশাপাশি মন্ডপগুলোতে ৪ প্লাটুন সেনাবাহিনী ও সাদা পোশাকে অতিরিক্ত পুলিশ টহল দিবে। এতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিরাপত্তা বলয় তৈরী করা হয়েছে। মন্ডপগুলোর আশে-পাশে স্থাপন করা হয়েছে সিসিটিভি।
এদিকে, নিরাপত্তা নিশ্চিতে প্রশাসনের পাশাপাশি কাজ করছে জেলা পূজা উদযাপন কমিটিও। মন্ডপে মন্ডপে গঠন করা হয়েছে স্বেচ্ছাসেবক টিম। সব মিলিয়ে হবিগঞ্জে এবার শান্তিপূর্ণভাবে দুর্গোৎসব পালন করা হবে।