স্টাফ রিপোর্টার ॥ নবীগঞ্জ উপজেলার কালিয়ারভাঙ্গা ইউনিয়নের উমরপুর গ্রামে যৌতুকের মামলা করায় স্বামীর হামলায় তিন সন্তানের জননীসহ ৫ জন আহত হয়েছেন। গতকাল শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) সকালে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, প্রায় ১৫ বছর পূর্বে উমরপুর গ্রামের ফজল মিয়ার ছেলে আহমদ মিয়ার সাথে একই গ্রামের রহমত উল্ল্যার কন্যা সাহেদা বেগমের বিয়ে হয়। বিয়ের পর তাদের কোল জুড়ে এক মেয়ে ও ২ ছেলে সন্তানের জন্ম হয়। ৬ মাস পূর্বে আহমদ মি য়া জুয়া খেলার টাকার জন্য সাহেদা বেগমের উপর নির্যাতন শুরু করে। এক পর্যায়ে সে শাহেদার কাছে মোটা অংকের যৌতুক দাবি করে। স্বামীর নির্যাতনের মাত্রা বাড়তে থাকলে সাহেদা নিরুপায় হয়ে পিত্রালয়ে চলে আসে। এ নিয়ে স্থানীয় চেয়ারম্যানের মাধ্যমে সালিশ বিচারের আয়োজন করা হয়। কিন্তু আহমদ মিয়া ওই সালিশ বিচার মানে না বলে প্রচার করতে থাকে। নিরুপায় হয়ে সাহেদা স্বামীর বিরুদ্ধে নারী নির্যাতন মামলা দায়ের করেন। আগামীকাল (৩০ সেপ্টেম্বর) মামলার হাজিরার তারিখ। এ প্রেক্ষিতে ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে স্বামী আহমদ মিয়া। গতকাল শনিবার আহমদ তার লোকজন নিয়ে সাহেদার উপর হামলা চালায়। আত্মরক্ষার্থে সাহেদা শোর চিৎকার শুরু করলে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে তাকে উদ্ধারের চেষ্টা করেন। এ সময় তাদের উপরও হামলা চালানো হয়। হামলায় সাহেদা বেগম (৩৫), আব্দুল কাদির (২৭), আব্দুল মমিন (৩২), মমতা বেগম (৪৫) ও হাসিনা বেগম (২৮) আহত হন। তাদেরকে উদ্ধার করে হবিগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন সাহেদা বেগম জানান, তার স্বামী আহমদ মিয়া জুয়া খেলায় আসক্ত হয়ে পড়ে। এর পর থেকেই তাকে যৌতুকের টাকার জন্য বিভিন্নভাবে নির্যাতন করতে থাকে। তার নির্যাতন সইতে না পেরে সে তার পিত্রালয়ে চলে আসে। সালিশ বিচার অমান্য করায় সে স্বামীর বিরুদ্ধে নির্যাতনের মামলা দায়ের করে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে আহমদ তার সহযোগিদের নিয়ে তার উপর হামলা চালিয়েছে।
© স্বত্ব দৈনিক হবিগঞ্জের মুখ ২০১৯
ওয়েবসাইটটি তৈরী করেছে ThemesBazar.Com