বানিয়াচং প্রতিনিধি ॥ বানিয়াচং উপজেলা সদরের আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পারভীন খানম, সহকারি শিক্ষক নানু মিয়া, ও শিরিন আক্তারকে অপসারণের দাবিতে বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে বিক্ষোভ কর্মসূচী পালন করেছে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীসহ স্থানীয় জনতা। সোমবার বেলা সাড়ে ১০টার দিকে বিদ্যালয়ের ৪ শতাধিক শিক্ষার্থী তাদের অপসারণের দাবিতে আন্দোলন করেন। বিক্ষোভ চলাকালে শিক্ষার্থীরা তাদের বিরুদ্ধে বিগত ১৬ বছরের নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির বিচার দাবি করেন।
সোমবার সকাল ১০টার পর থেকে বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড ও ব্যানার নিয়ে বানিয়াচং আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকসহ আরো দুই শিক্ষকের অপসারণের দাবিতে বিদ্যালয়ের বাহিরে বিক্ষোভ করতে থাকে শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীরা তাদের বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে বিদ্যালয়ের ভিতরে প্রবেশ করতে চাইলে বিক্ষোভকারীদের গেইট বন্ধ করে আটকে দেয় কর্তৃপক্ষ। পরবর্তীতে যখন বিক্ষোভ মিছিলে শিক্ষার্থীদের সংখ্যা বাড়তে থাকে তখন বিদ্যালয়ের গেইট খোলে দিতে বাধ্য হয়।
পরবর্তীতে শিক্ষার্থীরা তাদের মিছিল নিয়ে ভেতরে ঢুকে অভিযুক্ত শিক্ষকদের বিরুদ্ধে নানা শ্লোগান দিতে থাকে। এরই মধ্যে অভিযুক্ত শিক্ষকদের পক্ষে শিক্ষার্থীদের মধ্যে আরেকটি দল তাদের পক্ষ নিয়ে পাল্টা শ্লোগান দিতে থাকে। শিক্ষার্থীদের এই বিক্ষোভের খবর পেয়ে স্থানীয় সেনা ক্যাম্পের দায়িত্বপ্রাপ্ত মেজর আব্দুল মালেক এর নেতৃত্বে একদল সেনা সদস্য সেখানে হাজির হন। বিক্ষোভকারীদের কথা শুনে মেজর মালেক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের সাথে বিষয়টি নিয়ে কথা বলেন। সেখানে সাধারণ শিক্ষার্থীরা ছাড়াও এলাকার পঞ্চায়েত ব্যক্তিবর্গ, বিএনপি দলীয় সভাপতি/সেক্রেটারি ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। বিষয়টি নিয়ে বিস্তর আলোচনা শেষে কোন সমাধান না হওয়ায় সিদ্ধান্ত নেয়া হয় আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে গিয়ে সমাধান খোঁজার।
একপর্যায়ে বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীদের পক্ষে কয়েক শিক্ষার্থী, বিদ্যালয়ের শিক্ষক, কমিটির সদস্য ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তি, সাংবাদিক সহ বিষয়টি নিয়ে উপজেলা সভাকক্ষে রুদ্ধদ্বার বৈঠকে বসেন। সেখানেও কোন সমাধানে পৌছুতে পারেননি তারা।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও বানিয়াচং আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মো: মাহবুবুর রহমান জানান, কাউকে অপসারণ করতে হলে আইনের দিকও দেখতে হবে। হুট করে কোন অভিযোগ উঠলে কাউকে অপসারণ করা যায় না। আমরা বিষয়টি পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে আইনিভাবে খতিয়ে দেখে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবো। তাছাড়া অভিযুক্ত শিক্ষকগণ তারা বিদ্যালয়ে ক্লাস নিতে পারবেন কি পারবেন না সে বিষয়ে মঙ্গলবার (আজ) বিকেলের মধ্যেই জানিয়ে দেয়া হবে।
© স্বত্ব দৈনিক হবিগঞ্জের মুখ ২০১৯
ওয়েবসাইটটি তৈরী করেছে ThemesBazar.Com