ছাত্র আন্দোলনে শহীদদের রক্ত বৃথা যেতে দেব না ॥ জি কে গউছ
স্টাফ রিপোর্টার ॥ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত লাখাই উপজেলায় ৩ শহীদের পরিবারকে ৫০ হাজার টাকা করে দেড় লাখ টাকা অর্থ সহায়তা প্রদান করছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক (সিলেট বিভাগ) ও টানা ৩ বারের নির্বাচিত হবিগঞ্জ পৌরসভার পদত্যাগকারী মেয়র আলহাজ্ব জি কে গউছ। শনিবার দুপুরে প্রত্যেক শহীদের বাড়িতে গিয়ে তিনি এই টাকা তুলে দেন।
এ সময় জি কে গউছ বলেন- বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে যারা শহীদ হয়েছেন, তারা নিজের জীবন দিয়ে বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষকে আওয়ামী লীগের দুঃশাসন থেকে মুক্ত করে দিয়ে গেছেন। তারা বাংলাদেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য শহীদ হয়েছেন। তাদের রক্ত আমরা বৃথা যেতে দেব না।
তিনি বলেন- বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে যারা শহীদ হয়েছেন, পঙ্গুত্ববরণ করেছেন, আহত হয়েছেন তাদের পাশে দাঁড়াতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান আমাদের নির্দেশ দিয়েছেন। বিএনপি নেতাকর্মীরা তাদের পাশে দাঁড়িয়েছেন। যে কোনো প্রয়োজনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদদের পাশে থাকবে বিএনপি।
জি কে গউছ বলেন- ১৭টি বছর আওয়ামী লীগের লোকজন বাংলাদেশের মানুষের প্রতি জুলুম করেছে, নির্যাতন নিপীড়ন করেছে, মানুষের সকল অধিকার কেড়ে নিয়েছে। তাদের নেত্রী স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা পালিয়ে গেলেও আওয়ামী লীগের লোকজন আমাদের সমাজেই ঘাপটি মেরে বসে আছে। তাদের ব্যাপারে আমাদের সজাগ থাকতে হবে। তারা সুযোগ পেলেই আবারও ছোঁবল দেয়ার চেষ্টা করবে। দেশের শান্তিপূর্ণ পরিবেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করবে। তাই জনগণের জানমাল রক্ষায় বিএনপির নেতাকর্মীদেরকে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন হবিগঞ্জ জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক হাজী এনামুল হক, সদস্য আব্দুল ওয়াদুদ তালুকদার আব্দাল, লাখাই উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট শামছুল ইসলাম, সিনিয়র সহ-সভাপতি শেখ ফরিদ মিয়া, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহ আলম গোলাপ, সাংগঠনিক সম্পাদক শামছুদ্দিন আহমেদ, হবিগঞ্জ জেলা যুবদলের আহ্বায়ক জালাল আহমেদ, সদস্য সচিব সফিকুর রহমান সিতু, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক সৈয়দ মুশফিক আহমেদ, সদস্য সচিব এমদাদুল হক ইমরান, জেলা ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম মাহবুব, বিএনপি নেতা এস আর তালুকদার শাহিনুর, আব্দুল আওয়াল ভুইয়া, তাজুল ইসলাম মোল্লা, অ্যাডভোকেট আয়াতুল ইসলাম, আরিফ আহমেদ রুপন, আব্দুল মোতালিব, অ্যাডভোকেট ইয়ারুল ইসলাম, অ্যাডভোকেট হারুনুর রশিদ, শাহজাহান মিয়া, জয়নাল আবেদিন, মাহফুজুর রহমান চৌধুরী, মোস্তফা কামাল খসরু, এমদাদ মিয়া, কাজী জুলহাস, অ্যাডভোকেট মোক্তাদির তালুকদার, মশিউর রহমান সাচ্চু প্রমূখ।
উল্লেখ্য, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ঢাকায় নিহত হন লাখাই উপজেলার মুড়িয়াউক গ্রামের বাসিন্দা মরহুম মাওলানা আব্দুল আজিজের ছেলে নাহিদ বিন আব্দুল আজিজ, একই উপজেলার সদর ইউনিয়নের কামালপুর গ্রামের বাসিন্দা ছোয়াব মিয়ার ছেলে মোনায়েল আহমেদ ইমরান ও তেঘরিয়া গ্রামের মৃত ছালেক মিয়ার পুত্র মামুন আহমেদ রাফসান।
এদিকে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া’র জন্মদিন উপলক্ষে তাঁর দীর্ঘায়ু ও সুস্থতা কামনায় এবং ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শহীদদের আত্মার মাগফেরাত ও আহতদের সুস্থতা কামনায় লাখাই উপজেলা বিএনপি ও সকল অঙ্গ সংগঠনের উদ্যোগে গণদোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক (সিলেট বিভাগ) ও টানা ৩ বারের নির্বাচিত হবিগঞ্জ পৌরসভার পদত্যাগকারী মেয়র আলহাজ্ব জি কে গউছ।