উর্ধতন কর্তৃপক্ষের সাথে আলাপ করে এ ব্যাপারে ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সিলেট বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক আলহাজ্ব জিকে গউছ
সুমন আহমেদ বিজয় ॥ লাখাই মুক্তিযোদ্ধা সরকারি ডিগ্রি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ জাবেদ আলীর বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ এনে দ্রুত তার পদত্যাগের দাবীতে বিক্ষোভ মিছিল অব্যাহত রেখেছেন শিক্ষার্থীরা। ‘হঠাও জাবেদ আলী, বাঁচাও কলেজ’ ও ‘দফা এক দাবী এক, জাবেদ আলীর পদত্যাগ’ এই স্লোগানে শনিবার (১৭ আগস্ট) সকাল ১০ টায় উপজেলার বুল্লা বাজারে বিক্ষোভ মিছিল করেন কলেজের শিক্ষার্থীরা। এসময় বার বার দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ এনে দ্রুত অধ্যক্ষের পদত্যাগ দাবী করা হয়। পরে লাখাই উপজেলার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহতদের পরিবারের সাথে দেখা ও আর্থিক সহায়তা করতে যাওয়ার পথে বিক্ষোভকারীদের সাথে কথা বলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সিলেট বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক ও হবিগঞ্জ পৌরসভার পদত্যাগকারী মেয়র আলহাজ্ব জিকে গউছ। তিনি শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ মিছিল স্থগিত করার আহবান জানান। পাশাপাশি অধ্যক্ষ জাবেদ আলীর পদত্যাগের বিষয়টি উর্ধতন কর্তৃপক্ষের সাথে আলাপ করে এ ব্যাপারে ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেন।
বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীরা জানান, লাখাই মুক্তিযোদ্ধা সরকারি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ জাবেদ আলীর পদত্যাগের দাবীতে গত বুধবার (১৪ আগস্ট) কলেজ চত্বরে বিক্ষোভ মিছিল করে ২৪ ঘন্টার মধ্যে পদত্যাগের আল্টিমেটাম দেয়া হয়েছিল। কিন্তু তিনি পদত্যাগ করেননি। তাই ১৫ আগস্ট ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ জাবেদ আলীর পদত্যাগের দাবীতে জেলা প্রশাসক এবং মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের শিক্ষা সচিব বরাবরে লাখাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাহিদা সুলতানা’র মাধ্যমে দুইটি স্মারকলিপি দেয়া হয়েছে।
দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র তানভির চৌধুরী জানান, লাখাই মুক্তিযোদ্ধা সরকারি ডিগ্রি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ এনজিও সংস্থা জিএলডিপি’র চেয়ারম্যান। জিএলডিপিতে সময় দেওয়ার কারণে কলেজে ঠিকমতো আসেন না। কলেজের আইডি কার্ডের জন্য ৩শ’ টাকা করে নেওয়া হলেও এখন পর্যন্ত আমাদেরকে আইডি কার্ড দেওয়া হয়নি।
তিনি আরও জানান, গত ২০১৮/২০১৯ শিক্ষাবর্ষে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে বেতন আদায়ের রশিদে মিলাদ, পূজা, দরিদ্র তহবিল ও নবীনবরণ অনুষ্ঠান বাবদ ৩শ’ টাকা করে ৫২০ জন শিক্ষার্থীর কাছ থেকে ১ লাখ ৫৬ হাজার টাকা আদায় করা হলেও তিনি ৮২ হাজার টাকা খরচ করেন। অবশিষ্ট ৭৪ হাজার টাকা তিনি আত্মসাৎ করেছেন বলে। বিষয়টি তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে। তদন্তে প্রমাণিত হওয়ার পরও তার বিরুদ্ধে কোন প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় আমরা হতাশ। তাই আমরা লাখাই মুক্তিযোদ্ধা সরকারি ডিগ্রি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ জাবেদ আলীর দ্রুত পদত্যাগের দাবী জানাচ্ছি।