আক্তার হোসেন আলহাদী ॥ হবিগঞ্জের বানিয়াচং উপজেলায় একই দিনে ভিন্ন ভিন্ন ঘটনায় নিহত ৩ জনের লাশ উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ। তিনটি ঘটনায় নিহত ৩ জনের মধ্যে ২ জন নারী ও ১ জন পুরুষ। নিহতদের নাম রুমা আক্তার (১৮), সিপ্রা রানী দাস (২৩) ও চান মিয়া (৩২)।
এলাকবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, শনিবার (৬ জুলাই) সকাল ৮ টায় বানিয়াচং উপজেলা সদরের ১নম্বর উত্তর-পশ্চিম ইউনিয়নের কামালখানী গ্রামে রুমা আক্তার নামে একজনের লাশ বাড়ির সামনের পুকুরে ভাসতে দেখে এলাকাবাসী থানা পুলিশেকে খবর দেন। খবর পেয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে। নিহত রুমা মৃত মন্নাফ মিয়ার কন্যা। নিহতের পরিবারের দাবি সে মৃগীরোগী ছিল। যে কারণে পানিতে ডুবে মারা যেতে পারে।
অপর নিহত নারী ৫ নম্বর দৌলতপুর ইউনিয়নের আড়িয়ামুগুড় গ্রামের কদমতলী পাড়ার সিপ্রা রাণী দাস। সে উপজেলার ৫ নম্বর দৌলতপুর ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের আড়িয়ামুগুর গ্রামের কদমতলী পাড়ার রামলাল দাসের কন্যা। নিজ ঘরের আড়ায় সিপ্রা রানী দাসের ঝুলন্ত মরদেহ ঝুলতে দেখে এলাকাবাসী থানা পুলিশকে খবর দেন। নিহত সিপ্রার বাবা রামলাল দাস জানান, প্রতিদিনের মত রাত ১০টায় রাতের খাবার খেয়ে বাড়ির সবাই ঘুমিয়ে পড়েন। পরিবারের লোকজনের অগোচরে ঘরের ভিতেরে কাঁঠের রুয়ার সাথে পরনের ওড়না পেচিয়ে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে সিপ্রা রানী দাশ। তার পিতা রাম লাল দাস ঘুম থেকে উঠে সিপ্রা রানীকে রুমে দেখতে না পেয়ে খোঁজাখুজি করে ঘরের আড়ায় সিপ্রার ঝুলন্ত লাশ দেখতে পান। এ সময় তার চিৎকারে লোকজন এগিয়ে এসে ফাঁস লাগানো অবস্থায় দেখে পুলিশে খবর দেন। সকাল সাড়ে ৯ টায় বানিয়াচং থানার পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করেন।
লাশ উদ্ধার হওয়া অপর নিহত ব্যক্তির নাম চান মিয়া। সে ৬ নম্বর কাগাপাশা ইউনিয়নের বাতাকান্দি গ্রামের সামছু মিয়ার পুত্র। এলাকাবাসী জানান, শুক্রবার (৫ জুলাই) বানিয়াচং উপজেলার ৬নং কাগাপাশা ইউনিয়নের মকার হাওরে বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে হাওরের পানিতে নিখোঁজ হওয়ার ঘটনা ঘটে। ৬ জুলাই(শনিবার) ঘটনার ১৭ ঘন্টা পর হবিগঞ্জের ফায়ার সার্ভিসের একদল ডুবুরি দুপুর সাড়ে ১১টার দিকে পানির নিচে তলিয়ে যাওয়া নৌকার মাঝি চান মিয়ার লাশটি উদ্ধার করে।
বানিয়াচং থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন জানান, পরিবারের লোকজনের আবেদনে লাশগুলো স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।