আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি
এম,এ আহমদ আজাদ, নবীগঞ্জ থেকে ॥ নবীগঞ্জে দুর্ধর্ষ ডাকাতির ঘটনায় ডাকাত সরদার সাদ্দাম হোসেন প্রকাশ কাজল মিয়াকে (৪৮) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গত ৩ জুন রাত সাড়ে ১১ টায় উপজেলার আউশকান্দি এলাকা হতে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
গত ৯ মে দিবাগত গভীর রাতে নবীগঞ্জ উপজেলার ৪নং দীঘলবাক ইউনিয়নের কামারগাঁও গ্রামে ইয়াহিয়া আহমদ চৌধুরীর বাড়িতে একদল ডাকাত ঘরের দরজার ভেঙ্গে ভেতরে প্রবেশ করে ডাকাতি সংঘটিত করে। ডাকাতরা বাড়ির লোকজনকে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে বাড়ি থেকে নগদ টাকা, স্বর্ণালংকার, মোবাইল ফোন সহ মূল্যবান জিনিসপত্র লুট করে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় অজ্ঞাতনামাদের বিরুদ্ধে নবীগঞ্জ থানায় ডাকাতি মামলা রুজু করা হয়। ঘটনার পর পুলিশ সুপার আক্তার হোসেন (বিপিএম-সেবা) এর দিক নির্দেশনায় ‘টিম নবীগঞ্জ থানা’ ডাকাতদের সনাক্ত এবং গ্রেফতারের লক্ষ্যে তদন্ত অব্যাহত রাখে। তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় গত ৩ জুন রাত প্রায় সাড়ে ১১টায় ওসি মোঃ মাসুক আলীর নেতৃত্বে মামলার তদন্তকারী অফিসার পুলিশ পরিদর্শক আলমগীর কবির, এসআই রাজিব রহমান, এসআই সুমন মিয়া গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উপজেলার আউশকান্দি এলাকায় অভিযান চালিয়ে ইয়াহিয়া আহমদ চৌধুরীর বাড়িতে ডাকাতির ঘটনায় জড়িত ডাকাত সরদার সাদ্দাম হোসেন প্রকাশ কাজল মিয়াকে (৪৮) গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃত সাদ্দাম হোসেন প্রকাশ কাজল মিয়া মৌলভীবাজার সদরের আতানগিরি গ্রামের মৃত আব্দুল আজিজ এর ছেলে।
পুলিশ জানায়, ডাকাত কাজল মিয়া একজন পেশার আন্তঃজেলা ডাকাত দলের সক্রিয় সদস্য। তার বিরুদ্ধে মৌলভীবাজার, সিলেট ও হবিগঞ্জে ডাকাতি, চুরি, হত্যা ও অস্ত্র মামলা সহ ১৫টি মামলা রয়েছে। ডাকাতি মামলায় পূর্বে তার সাজা হয় এবং সাজা খেটে জেল থেকে বের হয়ে পুনরায় ডাকাতিতে জড়িয়ে পড়ে। ডাকাত সাদ্দাম হোসেন প্রকাশ কাজল মিয়া কামারগাঁও গ্রামের ইয়াহিয়া আহমদ চৌধুরীর বাড়িতে ডাকাতির ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। ৪ জুন মঙ্গলবার তাকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। পরে সে বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ছিফাত উল্ল্যাহ এর আদালতে ডাকাতির ঘটনার বর্ণনা দেয় এবং ঘটনায় জড়িত ডাকাতদের নাম-ঠিকানা উল্লেখ করে ফৌঃ কাঃ বিঃ ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি প্রদান করে।