স্টাফ রিপোর্টার ॥ ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে হবিগঞ্জে ঝড়ো হাওয়ার সাথে হয়েছে ভারি বৃষ্টিপাত। ফলে শহরের বিভিন্ন এলাকায় দেখা দেয় জলাবদ্ধতা। ঝড়ো হাওয়ায় উপড়ে পড়েছে গাছপালা, ধ্বসে পড়েছে কাঁচা ও আধাপাকা ঘরবাড়ি। এতে দীর্ঘ সময় বিদ্যুৎহীন অবস্থায় থাকেন পুরো শহরবাসী। একদিকে অবরাম বৃষ্টি অন্যদিকে বিদ্যুৎ না থাকায় চরম দুর্ভোগে পড়েন সাধারণ জনগণ। অনেক স্থানে আবার বাসাবাড়িতেও পানি উঠতে দেখা গেছে। যদিও গতকাল মঙ্গলবার দুপুর নাগাদ কোন কোন এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হয়েছে। কিন্তু অনেক এলাকায় তখনও বিদ্যুতের দেখা মেলেনি।
ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে সোমবার থেকেই হবিগঞ্জের ওপর দিয়ে দমকা হাওয়ার সাথে বৃষ্টিপাত শুরু হয়। সন্ধ্যার পর থেকে একটানা পুরো রাত ঝড়ো হাওয়ার সাথে বৃষ্টিপাত হয়। যে কারণে অনেক স্থানে বিদ্যুতের খুঁটি উপড়ে যায়। আবার কোথাও কোথাও বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইনের উপর বড় বড় গাছ উপড়ে পড়ে। যার কারণে বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়ে পুরো শহর। জনজীবনে নেমে আসে স্থবিরতা।
সরেজমিনে দেখা যায়, হবিগঞ্জ শহরের শায়েস্তানগর, মোহনপুর, অনন্তপুর, সিনেমা হল, ঘোষপাড়া, কোর্ট স্টেশন, সদর মডেল থানা, উত্তর শ্যামলী, হরিপুর, পানি উন্নয়ন বোর্ডের সামনের সড়কসহ বিভিন্ন এলাকায় সড়কে পানি জমে রয়েছে। বিশেষ করে পাড়া মহল্লার অলিগলিতে পানি জমে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। তবে পৌর মেয়রের তড়িৎ পদক্ষেপে ভোগান্তি থেকে রক্ষা পান সাধারণ জনগণ।
স্থানীয় বাসিন্দা সেলিম মিয়া বলেন, দুইদিন যাবত ঝড়ো হাওয়ার সাথে বৃষ্টি হচ্ছে। যে কারণে অনেক স্থানে গাছপালা উপড়ে পড়েছে। বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়েছে পুরো শহর। এ অবস্থায় সাধারণ মানুষ পড়েছেন বিপাকে।
কাউছার মিয়া নামে একজন জানান, ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যায়। বাতাস বেশি থাকায় গাছপালা উপড়ে পড়ে যায় বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইনের উপর। সোমবার বিকেল থেকেই শহরের অনেক এলাকায় বিদ্যুৎ নেই। পরে পুরো শহর হয়ে পড়ে বিদ্যুৎহীন। এ অবস্থায় বাসা বাড়িতে পানি সংকট দেখা দেয়। চরম দুর্ভোগে পড়তে হয় আমাদের।
হবিগঞ্জ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী বলেন, ঝড়ের কারণে বিদ্যুৎ লাইন অনেক স্থানে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। দ্রুটিপূর্ণ লাইন মেরামত করতে মাঠে কাজ করছেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। তাদের অক্লান্ত পরিশ্রমে শহরের অনেক এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হয়েছে। কিছু এলাকায় সমস্যা রয়ে গেছে। দ্রুতই তা সমাধান করা হবে।