স্টাফ রিপোর্টার ॥ হবিগঞ্জ আড়াইশ শয্যা জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা কার্যক্রম চলছে ইন্টার্ন চিকিৎসকদের দিয়ে। অভিযোগ, তাদের লিখিত ওষুধ খেয়ে অনেকেই বিপদাপন্নœ হয়েছেন। এনিয়ে রোগীদের সাথে প্রায়ই বাকবিতন্ডার ঘটনা ঘটছে। এর পরও এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি। ফলে তাদের দৌরাত্ম্য বেড়েই চলেছে। অভিযোগ রয়েছে, জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক রাত ১২ টার পরই তার রুমে গিয়ে ঘুমিয়ে পড়েন। এ সময় ইন্টার্ন চিকিৎসকরা হাসপাতালে আগত রোগীদের চিকিৎসা সেবা দিয়ে থাকেন।
জেলার প্রায় ১৭ লাখ মানুষের সরকারি চিকিৎসা সেবা পাওয়ার নির্ভরযোগ্য স্থান হবিগঞ্জ সদর হাসপাতাল। কিন্তু এখানে এসেও অনেক রোগীকে ভোগান্তিতে পড়তে হয়। গতকাল শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে এক নারী ব্যাংক অফিসার তার শিশুকে নিয়ে জরুরি বিভাগে চিকিৎসা করাতে গেলে ডাক্তার না থাকায় ইন্টার্ন চিকিৎসক তার মোবাইল ফোনের দিকে তাকিয়ে থেকে ওই শিশুর ব্যবস্থাপত্র লিখে দেন। এতে ব্যাংক অফিসারের সন্দেহ হয়। তখন তিনি বুঝতে পারেন যারা ব্যবস্থাপত্র লিখে দিয়েছে তারা ডাক্তার নয়, ইন্টার্ন চিকিৎসক। ওই সময় কর্তব্যরত চিকিৎসক পাশের রুমে বিশ্রামে ছিলেন। শিশুটিকে যে ওষুধ লিখে দেয়া হয় তা ছিলো ভুল। এক পর্যায়ে ইন্টার্ন চিকিৎসকরা তার সাথে অশোভন আচরণ করলে তিনি লজ্জায় হাসপাতাল ত্যাগ করেন।