থানা মসজিদে জুমার খুৎবায় মুফতি কামরুল ইসলাম শিবলী

স্টাফ রিপোর্টার ॥ হবিগঞ্জ সদর মডেল থানা মসজিদে ১৯ এপ্রিল জুমার খুৎবায় মুফতি কামরুল ইসলাম শিবলী বলেছেন- মোনাফিকদের দরজা বন্ধ হয়ে যায়নি। তারা কিয়ামত পর্যন্ত প্রত্যেকটি সমাজেই থাকবে। রাসুল (সা.) এর জামানায় মোনাফিকরা ইসলামের সবচেয়ে বেশি ক্ষতি করেছে। তারা দুই পক্ষের কাছ থেকেই লাভবান হতে চায়। তারা যদি সরাসরি ইহুদি, নাসারা, বেদুইন, খ্রিস্টান ইত্যাদি পরিচয়ে পরিচিত হতো তাদেরকে চেনা যেত। কিন্তু তারা মুসলমানের বেশে মুসলিম সমাজে প্রবেশ করে ইসলামেরই বেশি ক্ষতি করেছে এবং করবে। রাসুল (সা.) এর জামানায় মোনাফিকদের একটি তালিকা তৈরী করা হয়েছিল, কিন্তু তা প্রকাশ করা হয়নি। তবে মোনাফিকদের লক্ষণ সম্পর্কে আল্লাহ পাক পবিত্র কোরআনে এবং রাসুল (সা.) পবিত্র হাদিসে বর্ণনা করেছেন। মোনাফিকদের প্রথম লক্ষণ হচ্ছে তারা যা বলবে তা মিথ্যা বলবে। মোনাফিকদেরকে সরাসরি মিথ্যুক হিসাবে আখ্যায়িত করা হয়েছে। আমাদের সমাজে মিথ্যা বলা লোকের অভাব নেই। দ্বিতীয় লক্ষণ হচ্ছে তারা ওয়াদা দিয়ে ওয়াদা রক্ষা করবে না। মুখে বলবে একটা কাজে করবে আরেকটা। যে কোনো ওয়াদা রক্ষা করতেই হবে। ওয়াদা দিয়ে তা পালন করতে না পারলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির কাছে গিয়ে ক্ষমা চেয়ে আসতে হবে। ওয়াদার বরখেলাপকারী লোকের সংখ্যাও আমাদের সমাজে আছে। তৃতীয়ত হচ্ছে তারা আমানতের খেয়ানত করবে। সেটা কথার আমানত হতে পারে সম্পদের আমানত হতে পারে। কেউ একজন বিশ্বাস করে আপনার কাছে কোনো সম্পদ. টাকা পয়সা বা কোনো কথা জমা রাখল, আপনি সেটা রক্ষা করতে পারলেন না, আমানতের জিম্মাদারী পালন করলেন না, বুঝে নিতে হবে আপনার মাঝে মোনাফিকির লক্ষণ আছে। আমাদের সমাজে এ ধরনের লোকেরও অভাব নেই। বড় বড় অপরাধীর চেয়ে মোনাফিকদের শাস্তি হবে অধিক কঠিন। তাদেরকে দোজকের গভীরে পুতে রাখা হবে। মোনাফিকদের আরেকটি লক্ষন হচ্ছে- ইসলামের পক্ষে কোনো কাজ করতে দেখলে তাদের গা জ্বলবে। তিনি সকলকে মোনাফিকি আচরণ থেকে নিজেকে রক্ষা করার এবং মোনাফিকির আচরণ আছে এমন লোকদের সঙ্গ ত্যাগ করার জন্য সকলের প্রতি অনুরোধ জানান।