স্টাফ রিপোর্টার ॥ সরকারের বেঁধে দেওয়া দামে বাঁধা যায়নি ব্যবসায়ীদের। তাই সরকারের বেঁধে দেওয়া দামে বিক্রি হচ্ছে না আলু ও পেঁয়াজ। খুচরা পর্যায়ে আলু বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৫০ টাকা এবং দেশি পেঁয়াজ ৮৫ টাকায়। ডিম কিছু কিছু দোকানে বিক্রি হচ্ছে সরকার নির্ধারিত দামে, প্রতি ডজন ১৪৪ টাকায়। আবার বেশ কিছু দোকানে বিক্রি করছে ১৫০ টাকায়। সরকার নির্ধারিত দামে বিক্রি না করা নিয়ে বিক্রেতাদের রয়েছে নানান অজুহাত।
বাজারে দেশি পেঁয়াজ ৮৫ টাকা, ক্রস জাতের পেঁয়াজ ৮০ টাকা, ভারতীয় পেঁয়াজ ৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। দেশি আদা ২৬০ টাকা, ইন্দোনেশিয়ার আদা ২৮০-৩০০ টাকা, চায়না রসুন ২০০, দেশি রসুন ২৪০ টাকা, আলু ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
নির্ধারিত দামে বিক্রি না করা নিয়ে আলু-পেঁয়াজ বিক্রেতারা বলেন, আমরা তো কম দামে কিনতে পারিনি, বিক্রি করবো কীভাবে।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে নিত্যপ্রয়োজনীয় কৃষিপণ্যের দাম নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে বাণিজ্যমন্ত্রী তিন কৃষিপণ্যের দাম নির্ধারণের সিদ্ধান্ত জানান। সে অনুযায়ী প্রতিকেজি পেঁয়াজের সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য হবে ৬৪ থেকে ৬৫ টাকা। আলু কেজিতে ভোক্তা পর্যায়ে ৩৫ থেকে ৩৬ টাকা কোল্ড স্টোরেজ থেকে ২৬ থেকে ২৭ টাকা। ডিমের সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য প্রতি পিস ১২ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এরপরও দাম নিয়ন্ত্রণে না এলে ডিম আমদানির নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়েছে। এছাড়া বোতল ও প্যাকেটজাত সয়াবিন তেল ১৬৯ টাকা লিটার, খোলা তেল ১৪৯ টাকা, পাম ওয়েল ১২৪ টাকা, চিনি খোলা ১২০ ও প্যাকেট ১৩৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
এসব পণ্যের দাম নির্ধারণ করে দিলেও বাজারে ডিম বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা হালি। এক্ষেত্রে প্রতিটি ডিমের দাম পড়ে ১২ টাকা ৫০ পয়সা। তবে কিছু কিছু দোকানে সরকার নির্ধারিত দামেই ডিম বিক্রি করতে দেখা গেছে। আর সয়াবিন বিক্রি আগের দামেই, প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল ১৭৫ টাকা এবং খোলা সয়াবিন তেল ১৫১ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে।
নির্ধারিত দামে পণ্য বিক্রি হচ্ছে কিনা তা তদারকি করতে দেশের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালায় জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর। মূল্য তালিকা না থাকায় ও বেশি দামে বিক্রি করায় পেঁয়াজের দুই পাইকারি ব্যবসায়ীকে ৫ হাজার টাকা এবং একজন ডিম ব্যবসায়ীকে ২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।