শেষ মুহূর্তে জমে উঠেছে নির্বাচনী প্রচারণা ॥ ৪ মেয়র প্রার্থীই জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী

আলাউদ্দিন আল রনি, মাধবপুর থেকে ॥ মাধবপুর পৌরসভার নির্বাচনকে সামনে রেখে ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রার্থী ও তাদের সমর্থকরা। নির্ঘুম প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন মেয়র, সাধারণ কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর প্রার্থীসহ তাদের সমর্থকরা। বড় দুই রাজনৈতিক দলের মনোনীত প্রার্থীর পক্ষে কেন্দ্র ও জেলার নেতারা প্রায় প্রতিদিনই প্রচারনায় অংশগ্রহন করছেন। তবে বেকায়দায় রয়েছেন ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের প্রার্থী। কেন্দ্র ও জেলার নেতারা তার নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ গ্রহন করলেও স্থানীয় নেতাকর্মীরা ৩ ভাগে বিভক্ত। এক অংশ রয়েছে উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি, বীর মুক্তিযোদ্ধা স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী শাহ মোঃ মুসলিমের পক্ষে এবং অপর অংশ রয়েছে আওয়ামী লীগের সাবেক নেতা স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী পংকজ সাহার পক্ষে। সেক্ষেত্রে সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছে বিএনপি মনোনীত মেয়র প্রার্থী হাবিবুর রহমান মানিক। তার বিজয় নিশ্চিত করতে নেতাকর্মীরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে নির্বাচনী মাঠে কাজ করে যাচ্ছেন।
১৯৯৭ সালে ৯টি ওয়ার্ড নিয়ে মাধবপুর পৌরসভা গঠিত হয়। বর্তমানে এ পৌরসভার মোট ভোটার ১৫ হাজার ৯৮৭জন। ১৬ জানুয়ারি ৫ম বারের মতো পৌর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। ৪ জন মেয়র, ৩৭জন কাউন্সিলর ও ৭জন মহিলা কাউন্সিলর প্রার্থী এ নির্বাচনে প্রতিদন্ডিতা করছেন। পৌর শহরসহ আশ-পাশ এলাকায় পোষ্টার-ব্যানার-ফেস্টুনে ছেয়ে গেছে। প্রচার-প্রচারণা ও মাইকিংয়ে মাধবপুর পৌর এলাকার জনপদ। কে হচ্ছেন আগামীর পৌর পিতা তা নিয়ে আলোচনা গড়িয়েছে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন ও গ্রাম-গঞ্জে।
আওয়ামীলীগের মেয়র প্রার্থী শ্রীধাম দাস গুপ্ত জয়ের ব্যাপারে শতভাগ নিশ্চিত হয়ে বলেন জননেত্রী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমার হাতে নৌকা তুলে দিয়েছেন। আশা করি পৌরবাসী নৌকার মান রাখবেন।
বিএনপি মনোনীত মেয়র প্রার্থী হাবিবুর রহমান মানিক বলেন আমি আশাবাদী প্রশাসন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের ব্যবস্থা করবেন। জনগণ যদি কেন্দ্রে গিয়ে স্বাধীনভাবে ভোট প্রয়োগ করতে পারে তাহলে ইনশাআল্লাহ ধানের শীষ প্রতীক বিপুল ভোটের ব্যবধানে জয়ী হবে।
স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী, আওয়ামী লীগের সাবেক নেতা বিশিষ্ট ব্যবসায়ী পংকজ কুমার সাহা বলেন- আমার বড় ভাই ১০ বছর ধরে পৌরসভার মেয়র হিসাবে সুনামের সাথে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। ১০ বছরে পৌরসভায় বিপুল উন্নয়ন হয়েছে। বড় ভাইয়ের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে পৌরবাসী আমাকে নির্বাচিত করবেন বলে আমি দৃঢ় আশাবাদী।
স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী সাবেক মেয়র ও উপজেলা আওয়ামীলীগের অব্যাহতিপ্রাপ্ত সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহ মোঃ মুসলিম বলেন পৌরবাসী আগেও আমাকে ২ বার মেয়র নির্বাচিত করেছিলেন। এবারও আমাকে পৌরবাসী তাদের মূল্যবান ভোট দিয়ে বিজয়ী করবেন।
জেলা নির্বাচন অফিসার ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মোঃ সাদেকুল ইসলাম জানান- নির্বাচন অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে সব ধরনের পদক্ষেপ গ্রহন করা হয়েছে।