কাউন্সিলর ও মহিলা কাউন্সিলর পদে যারা নির্বাচিত হলেন
কামরুল হাসান ॥ হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী ফরিদ আহমেদ অলি ধানের শীষ প্রতীকে মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন, তার প্রাপ্ত ভোট ৪ হাজার ৪১। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী মোঃ মাসুদউজ্জামান মাসুক নৌকা প্রতীকে পেয়েছেন ৩ হাজার ১শ’ ৪১ ভোট। নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী ছিলেন ৪ জন।
সোমবার (২৮ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৯টায় উপজেলা নির্বাচন কার্যালয়ে ফলাফল ঘোষণা করেন জেলা নির্বাচন অফিসার ও রিটার্র্র্র্নিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাদেকুল ইসলাম।
মেয়র প্রার্থীদের মধ্যে স্বতন্ত্র প্রার্থী বর্তমান মেয়র মোঃ ছালেক মিয়া নারিকেল গাছ প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ২ হাজার ৫৯৯ ভোট, স্বতন্ত্র ফজল উদ্দিন তালুকদার চামচ প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ১ হাজার ৫১০ ভোট, স্বতন্ত্র আবুল কাশেম শিবলু জগ প্রতীকে পেয়েছেন ১ হাজার ৪৩০ ভোট ও ইমদাদুল ইসলাম শীতল মোবাইল ফোন প্রতীকে পেয়েছেন ৫২২ ভোট।
কাউন্সিলর হিসেবে যারা নির্বাচিত হয়েছেন তারা হলেন- ১নং ওয়ার্ডে মোঃ রজব আলী (উটপাখি), ২নং ওয়ার্ডে মোঃ আবদুল জলিল (উটপাখি), ৩নং ওয়ার্ডে মোঃ মাসুক মিয়া (পাঞ্জাবি), ৪নং ওয়ার্ডে জালাল উদ্দিন মোহন (পাঞ্জাবি), ৫নং ওয়ার্ডে মোঃ আব্দুল গফুর (পানির বোতল), ৬নং ওয়ার্ডে ফাহিন হোসেন (পাঞ্জাবি), ৭নং ওয়ার্ডে মোঃ তাহির মিয়া খান (উটপাখি), ৮নং ওয়ার্ডে মোহাম্মদ আলী আহাদ (পাঞ্জাবি), ৯নং ওয়ার্ডে আব্বাস উদ্দিন (পানির বোতল)।
সংরক্ষিত নারী কাউন্সিল হিসেবে যারা নির্বাচিত হয়েছেন তারা হলেন- ১,২,৩ নং ওয়ার্ডে আছমা আক্তার, ৪,৫,৬নং ওয়ার্ডে আফসানা ডলি ও ৭,৮,৯ নং ওয়ার্ডে তহুরা খাতুন।
মোট ১৮ হাজার ৩৫ ভোটের মধ্যে ১৩ হাজার ২৪৩ ভোট কাস্টিং হয়েছে। কাস্টিং ভোটের শতকরা হার ৭৩ দশমিক ৬৭ ভাগ।
এদিকে, এই পৌরসভায় প্রথমবারের মত ইভিএম পদ্ধতিতে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। ভোট প্রদানে ভোটারদের কিছুটা বিড়ম্বনায় পড়তে হয়েছে। তাছাড়া সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। দুই একটি ভোট কেন্দ্রের বাইরে উৎসুক জনতার মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা হলেও ভোট গ্রহণে কোন বাঁধা সৃষ্টি হয়নি।
সরজমিনে বিভিন্ন ভোট কেন্দ্র ঘুরে দেখা গেছে, ভোটারদের উপস্থিতি ছিল লক্ষনীয়। এক্ষেত্রে নারী ভোটাদের উপস্থিতি বেশি ছিল।
ভোটারদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, দীর্ঘদিন পর সুন্দর পরিবেশে তারা ভোট প্রদান করেছেন। ইভিএম পদ্ধতিতে ভোট গ্রহণ করায় কোন জাল ভোট কিংবা কারচুপির সুযোগ ছিল না। তবে ইভিএমে আঙ্গুলের ছাপ না মিলায় বিড়ম্বনায় পড়েন অনেক ভোটার। অনেকে ভোট না দিয়েও বাড়ি ফিরেছেন।