সংঘর্ষ থামাতে গিয়ে আহত হয়েছেন ইউপি চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিন
এস এম খোকন ॥ বানিয়াচংয়ে জলাশয়ে বাঁধ দেওয়াকে কেন্দ্র করে দুই গ্রামবাসীর মাঝে ভয়াবহ সংঘর্ষে শতাধিক লোক আহত হয়েছে। গতকাল শুক্রবার সকাল ৮টা থেকে সংঘর্ষ শুরু হয়ে দফায় দফায় দুপুর ১টা পর্যন্ত অব্যাহত থাকে। এসময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাসুদ রানা, বানিয়াচং থানার ওসি এমরান হোসেনসহ দাঙ্গা পুলিশ এবং জনপ্রতিনিধিগণ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। ১ নম্বর উত্তর-পূর্ব ইউনিয়নের কামালখানী ও মজলিশপুর গ্রামের সীমান্ত হাওরে বাধ দেওয়া নিয়ে বিরোধকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
গ্রামবাসী ও থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, কানিভাঙ্গা পুরাখাল জলাশয়ে কামালখানী গ্রামের লোকজন বাঁধ দেওয়ায় মজলিশপুর গ্রামের লোকজন গতকাল শুক্রবার ভোরে ভেঙ্গে ফেলে দেয়। পরবর্তীতে কামালখানী গ্রামের লোকজন মজলিশপুর গ্রামের লোকজনের নিকট এ ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করে সঠিক জবাব না পেয়ে তাদেরকে বাঁধের এলাকা থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হয়। এতে মজলিশপুর গ্রামের লোকজন মাইকে ঘোষণা দিয়ে তাদের লোকজনকে ঘটনাস্থলে দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে যাওয়ার জন্য আহবান জানায়।
এদিকে কামালখানী গ্রামের লোকজনও মাইকে ঘোষণা দিয়ে তাদের লোকজনকে ঘটনাস্থলে যাওয়ার জন্য আহবান জানালে পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করে। এতে উভয়পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। সংঘর্ষ থামাতে থানা পুলিশ উভয় পক্ষকে ছত্রভঙ্গ করে দেওয়ার পরও দফায় দফায় সংঘর্ষ চলতে থাকে। সংঘর্ষ থামাতে গিয়ে আহত হয়েছেন বানিয়াচঙ্গ ১নং উত্তর-পূর্ব ইউপি চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিন আহমেদ (৫৯)।
এছাড়া সংঘর্ষে উভয়পক্ষের গুরুতর আহতরা হলেন- আবিদুর (৩০), লাল মিয়া (৩৫), মনছুর (৪০), অলি হোসেন (৩৭), জমির (৩৬), অপু সরকার (৩০), নিপু (৩০), সাজিদ (২৩), নুরুল আমীন (৪০), সাজলু (৩১), ফজলু (৪২), জিলু (২৮), নাজমুল (২৮), হারুন (৩৮) জসিম (৪০), আনসার মিয়া (৩৭)। তাদের মধ্যে মজলিশপুর গ্রামের নজির মিয়াকে (২৫) আশঙ্কাজনক অবস্থায় সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
বানিয়াচং থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ এমরান হোসেন জানান, দুর্গম হাওরের মাঝে দুইদল গ্রামবাসী বাধ দেওয়াকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাসুদ রানা বলেন, থানা পুলিশ, জনপ্রতিনিধিসহ উপজেলা প্রশাসন ঘটনাস্থলে পৌঁছে উভয়পক্ষকে শান্ত করেছেন। সব কিছু এখন প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণে আছে।