মঈন উদ্দিন আহমেদ ॥ ১৯৯৮ সালে শায়েস্তাগঞ্জ পৌরসভা গঠিত হয় এবং ২০১৩ সালে এটি প্রথম শ্রেণির পৌরসভায় উন্নীত হয়। খলাপাড়া আংশিক, জগন্নাথপুর ও বিরামচর নিয়ে শায়েস্তাগঞ্জ পৌরসভায় ৯নং ওয়ার্ড। এ ওয়ার্ড একটি গুরুত্বপূর্ণ আবাসিক এলাকা। পৌরসভা গঠিত হওয়ার পর থেকে এ ওয়ার্ডে অনেক জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হয়েছেন। কিন্তু এ ওয়ার্ডে রাস্তা ও ড্রেন সমস্যা রয়েছে। রয়েছে পর্যাপ্ত সড়কবাতির অভাব। সম্প্রতি ড্রেন খনন করা হয়েছে। আর ওই ড্রেনে ভেঙ্গে পড়ছে মূল রাস্তা। জগন্নাতপুর এলাকায় এখনো রয়েছে কাঁচা রাস্তা। ওই এলাকার পানি নিষ্কাশনের সমস্যা থাকায় দুর্গন্ধ মাড়িয়ে পৌরবাসীকে পথ চলতে হয়। সরেজমিনে ৯নং ওয়ার্ড ঘুরে ভূক্তভোগীদের কাছ থেকে এমন তথ্য জানা গেছে। তাই এ ওয়ার্ডের বাসিন্দারা নির্বাচিত জনপ্রতিনিধির কাছে প্রত্যাশা করেন যারাই নির্বাচিত হয়ে আসবেন তিনি সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে তা সমাধানে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন।
এবারের নির্বাচনে শায়েস্তাগঞ্জ পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সম্ভাব্য ৩ প্রার্থীর নাম শোনা যাচ্ছে। সম্ভাব্য কাউন্সিলর প্রার্থীরা হলেন- বর্তমান কাউন্সিলর সাইদুর রহমান, আব্বাস উদ্দিন তালুকদার ও শেখ মোঃ ফজর আলী।
প্রসঙ্গত, আগামী ডিসেম্বর মাসে শায়েস্তাগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে এমন খবরে সম্ভাব্য মেয়র, কাউন্সিলর ও মহিলা কাউন্সিলর প্রার্থীদের মাঝে প্রাণচাঞ্চল্য দেখা দিয়েছে। আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও স্বতন্ত্রসহ সম্ভাব্য মেয়র প্রার্থীরা মাঠে নেমে পড়েছেন। বসে নেই কাউন্সিলর প্রার্থীরাও। সম্ভাব্য কাউন্সিলর প্রার্থীরা করোনা ভাইরাসের কারণে প্রকাশ্যে সভা সমাবেশ করে বা কর্মী সমর্থকদের নিয়ে প্রচার প্রচারণা চালাতে না পারলেও তারা নিরবে নিভৃতে চালিয়ে যাচ্ছেন প্রচার প্রচারণা। সাধারণ ওয়ার্ডের সম্ভাব্য কাউন্সিলর প্রার্থীদের পাশাপাশি সংরক্ষিত ওয়ার্ডের মহিলা কাউন্সিলর প্রার্থীরাও মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন। স্থানীয় সংবাদপত্রে সংবাদ প্রকাশে প্রথমদিকে সম্ভাব্য কাউন্সিলর প্রার্থীরা নিজেদের দলীয় পরিচয় দিতে উৎসাহী হলেও বর্তমানে তাদের এ ব্যাপারে অনীহা লক্ষ্য করা গেছে। কৌশলগত কারণে অধিকাংশ প্রার্থীই দলীয় পদ পদবী ব্যবহার করতে নারাজ।