চুনারুঘাট প্রতিনিধি : গরুর বাজারে গিজ গিজ করছে পশু আর মানুষ। এক জন আরেকজনের গা ঘেঁেষ দাঁড়িয়ে। কেও দরদাম করছে, কেও পশু কিনে ট্রাকে তুলছে। অধিকাংশ লোকের মূখে মাস্ক নেই,কারও কারও মাস্ক থাকলেও তা নামানো থুতনিতে। সামাজিক দুরত্বের নির্দেশনার তোয়াক্কা না করে ঝুঁকি নিয়ে পশু কেনা বেচা চলছে। হবিগঞ্জের চুনারুঘাটের সবচেয়ে বড় গরুর বাজার আমরুট গরুর বাজারে এ দৃশ্য দেখা গেছে।
সরজমিন আমরুট গরুর বাজার ঘুরে দেখা গেছে,গরুর বাজারে অনেক লোক। এ বাজারে সবচেয়ে বেশী গরু বেচা কেনা হয়। এখান থেকে পাইকারা গরু ক্রয় করে দেশের অন্যান্য হাঠে নিয়ে বিক্রি করে। এ কারনে আমরুট গরুর বাজারে লোকের সমাগম বেশী। করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে সামাজিক দুরত্ব মেনে চলার সরকারি র্নিদেশনা থাকলেও কেও তা মানছেনা। মনে হচ্ছে পুরোনো গরুর বাজারের রূপ ফিরে আসছে এ বাজারে। আমরুট গরুর বাজার এ যেন করোনা ছড়ানোর হাট।
উপজেলায় স্থায়ী গরুর বাজার দুইটি। চুনারুঘাট পৌর সভার পীরের বাজার ও আহম্মদাবাদ ইউনিয়নের আমরুট গরুর বাজার। এবছর আমরুট গরুর বাজার সরকার ৮২ লাখ টাকা ও পীরের বাজার ২০ টাকায় ইজারা দিয়েছেন। এ দুটি বাজারের পাশাপাশি স্থানীয় আরও ১৩ টি গরুর বাজার এবার কোরবানির ঈদে ইজারা দিবেন বলে জানা গেছে।
বাজারে গরু বিক্রি করতে আসা বনগাঁও গ্রামের রহমত আলী বলেন,আমরুট বাজারে জায়গা কম। গরু ও লোক সমাগন বেশী হওয়ায় গা ঘেঁষে দাঁড়াতে হয়। এ বাজারে হাজার চেষ্টা করলেও সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখা সম্ববনা।
আমরুট গরুর বাজারের ইজারাদার বলেন, আমাদের পক্ষ থেকে ক্রেতা-বিক্রেতাদের উদ্দেশ্যে মাইকিং করে সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখতে ও মাস্ক পড়তে অনুরোধ করা হচ্ছে। মানুষের সমাগম বেশী তাই শতভাগ সামাজিক দুরত্ব মানা যাচ্ছেনা।
চুনারুঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সত্যজিত রায় দাশ বলেন,স্বাস্থ্যবিধি মেনে গরুর বাজার চলার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। স্বাস্থ্য বিধি না মানলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।