মোঃ নূরুজ্জামান ফারুকী, নবীগঞ্জ থেকে ॥ নবীগন্জউপজেলার হাওরের বোরো ধান পেকে আছে। মাইলের পর মাইল পাকা ধানের ক্ষেত। কৃষকের চোখে স্বপ্নের বদলে দুঃস্বপ্ন আর অনিশ্চয়তা বাসা বেধেছে। শ্রমিক সংকটের কারনে জমির পাকা ধান গোলায় তুলতে পারবে কিনা, সেই দুঃশ্চিন্তায় হাওরের কৃষককূলের দুচোখে এখন ঘুম নেই।
প্রতি বছরই চৈত্রের শেষে এবং বৈশাখের শুরুতে বোরো ধান কাটার জন্য এই সময়ে পাবনা, সিরাজগঞ্জ সহ উত্তর বঙ্গের কয়েকটি জেলার মানুষ নবীগন্জের হাওরগুলোতে আসেন। চলতি বছরে করোনা ভাইরাসের কারনে ঐ সমস্ত জেলার ধান কাটা শ্রমিকগন লকডাউন ও সরকারী বিভিন্ন বিধি নিষেধের বেড়াজালে আটকে পড়েছেন। পাবনা সিরাজগঞ্জ জেলার শ্রমিকরা নৌকায় করে বানিয়াচং আসতে গিয়েও বিভিন্ন পুলিশি চেকপোস্টে আটকে পড়েছেন। সড়ক পথে‘তো সম্ভবই না। এ অবস্থায় প্রধানমন্ত্রী‘র ঘোষনায় হাওরের কৃষকগন আশার আলো দেখলেও শ্রমিকরা ঘর থেকে বের হওয়ার সাহস হারিয়ে ফেলছেন। এর অন্যতম কারন হলো পরিবহন সংকট।
এ ব্যাপারে মোবাইল ফোনে সিরাজগঞ্জ জেলার শাহজাদপুরের শ্রমিক সর্দার আব্দুর রহিম মিয়ার সাথে আলাপকালে তিনি জানান, পরিবহন সংকটের কারনে জায়গামত পৌছতে পারব কিনা সে বিষয়ে দুঃশ্চিন্তা রয়েছে।
এ ব্যাপারে একটি মাত্র নৌকা নিয়ে আসতে পেরেছেন শাহজাদপুরের শ্রমিক সর্দার সানোয়ার হোসেন তিনি জানান, আমাদের তিনটি নৌকায় তিনটি দল ছিল, ভৈরব থেকে দুটি নৌকা ফেরত কৃষি শ্রমিক সংকট ॥ পাকা ধান নিয়ে অনিশ্চয়তায় বানিয়াচংয়ের কৃষক। এখন তারা আসতে পারবে কিনা আমি জানি না।
এ ব্যাপারে নবীগন্জ উপজেলার মদনপুর গ্রামের কৃষক খোরশেদ মিয়াওপৌরস মিয়া জানান, আমার ৭০একর জমি রয়েছে। সিরাজগঞ্জ থেকে ধান কাটার মানুষ না আসায় এখন আমরা শ্রমিক সংকটে॥ পাকা ধান নিয়ে অনিশ্চয়তায় নবীগন্জের কৃষক