উত্তম কুমার পাল হিমেল, নবীগঞ্জ থেকে ॥ প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে সরকারের সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েনের সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে মাঠ পর্যায়ে কাজ করছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। নবীগঞ্জ উপজেলা প্রশাসনের সমন্বয়ে প্রতিদিনই উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় সামাজিক দূরত্ব ও সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জনগণকে উৎসাহিত করছেন সেনাবাহিনীর লোকজন। পাশাপাশি তারা বিদেশফেরতদের বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টাইনের বিষয়টিও পর্যবেক্ষণ করছে। এতে সরকারী নির্দেশ অমান্য করলে ভ্রাম্যমান আদালতও পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। গতকাল শুক্রবার সকাল থেকে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি), নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সুমাইয়া মমিন ও সেনাবাহিনীর ক্যাপ্টেন এ.এস.এম শিহাবুজ্জামান শিহাবের সমন্বয়ে উপজেলার দেবপাড়া, গোপলারবাজার, সদরঘাট, গজনাইপুর জনতার বাজার, পৌর শহর, শিবপাশাসহ বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালানো হয়। এ সময় সেনা সদস্যরা ঔষধ ও নিত্যপ্রয়োজনীয় বিভিন্ন দোকানের সামনে দূরত্ব বজায় রেখে কেনাকাটা করতে রং দিয়ে দাঁড়ানোর জায়গা চিহ্নিত করে দেন। বাজারের মুদির দোকান, শাক-সবজি ও মাছ-মাংসের দোকানসহ ওষুধের দোকানে ক্রেতারা কিভাবে দাঁড়াবেন, কতফুট দূরত্বে দাঁড়াবেন, কিভাবে পণ্য কিনবেন তার নির্দেশনাও দেন। পরে সেনাবাহিনীর চিহ্নিত করে দেয়া জায়গায় দাঁড়িয়ে প্রয়োজনীয় কেনাকাটা করেন ক্রেতারা।
সেনা সদস্যরা সামাজিক দূরত্ব বজায় ও সরকারের নির্দেশনা মোতাবেক বাজারের ব্যবসায়ীদের সতর্ক করে দেন। প্রতি দোকানে একাধিক ক্রেতা যাতে এক সাথে ঢুকতে না পারে সে ব্যাপারেও নির্দেশনা প্রদান করেন।
এদিকে, সরকারী নির্দেশ অমান্য করে দোকান খোলা রাখায় ৩টি দোকানের মালিককে ৬ হাজার টাকা জরিমানা করেন ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সুমাইয়া মমিন।