এসএম সুরুজ আলী ॥ হবিগঞ্জে মসজিদে মসজিদে বৃহস্পতিবার মাঝরাতে আজানের ধ্বনী উচ্চারিত হয়েছে। রাত ১০টার পর থেকেই বিভিন্ন এলাকায় আজানের ধ্বনী উচ্চারিত হয়। চারদিকে সুনশান নিরবতা ভেদ করে আজানের ধ্বনী যেন মানুষের হৃদয় ভেদ করে গেছে। মোয়াজ্জিনগণ সুমধুর আজানের ধ্বনীতে বিশ^ব্যাপী ছড়িয়ে পড়া মরণঘাতি করোনা ভাইরাস থেকে মুক্তি পাওয়ার আকুতি জানান।
বুধবার থেকেই জেলা শহর নিস্তব্ধ। দোকানপাট বন্ধ। চলছে না গাড়িও। শহরে শুধু দেখা মেলে কিছু রিকশার। কিন্তু মানুষজনও অনেকটা নেই বললেই চলে। যে ক’জন রাস্তায় থাকেন তাদেরও বেশির ভাগই গুরুত্বপূর্ণ কাজে বের হন। দিনভর রাস্তায় কাজ করে পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। সন্ধ্যা হলেই পুরোপুরি স্তব্ধ হয়ে যায় শহরের অলিগলি। চারদিকে পিনপতন নিরবতা। আর এ নিরবতা ভেদ করে আজানের ধ্বনী ভেসে আসে। প্রথমে মানুষ চমকে উঠলেও মনে যেন আশার সঞ্চার হচ্ছিল। অনেকেই বাড়ির বাড়ান্দায় দাঁড়িয়ে আজানের ধ্বনী শুনেন। আর মরনব্যাধী করোনা থেকে রক্ষায় প্রার্থণা করেন মহান আল্লাহ রাব্বুল আল-আমিনের নিকট।
সাংবাদিক আব্দুল হালীম জানান, শহরের দুই নম্বরপুল, পোদ্দার বাড়ি, শায়েস্তানগর এলাকায় রাত ১০টার পর একযুগে আজান দেয়া হচ্ছিল। হঠাৎ আজানের ধ্বনী শুনে তিনি চমকে উঠেছেন। খোঁজ নিচ্ছিলেন শহরের অন্য কোথাও আজান দেয়া হচ্ছে কি-না। কোথাও কোন দুঃসংবাদ আছে কিনা জানতে চান তিনি।
সমাজসেবা কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম জানান, শহরের বগলা বাজার, চৌধুরী বাজারসহ আশপাশের এলাকায় মসজিদগুলোতে রাত ১০টার পর থেকে আজান দেয়া হয়।
শায়েস্তাগঞ্জ থেকে সৈয়দ মোজাহিদুল হক জানান, শায়েস্তাগঞ্জে মসজিদগুলোতে একযুগে আজান দেয়া হয়। প্রথমে তিনি চমকে উঠেন। তিনি বিভিন্ন এলাকায় খবর নেন আজান হয়েছে কি-না। কেন হলো।
শহরের কয়েকজন বাসিন্দা জানান, শ্যামলী, গোসাইপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় মসজিদে রাত ১১টার দিকে আজান দেয়া হয়েছে। আজানের ধ্বনী শুনে তারা চমকে উঠেন। তবে তারা মনে সাহস পেয়েছেন।